দুর্ঘটনাগ্রস্ত। নিজস্ব চিত্র
ফের জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটল। এ বার ঘটনাস্থল, দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে জামুড়িয়ার নিঘা মোড়। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সেই সময়ে ধাক্কা লাগে একটি গাড়ির সঙ্গেও। এই ঘটনায় মোট ২০ জন যাত্রী জখম হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন বরাকর থেকে বাঁকুড়াগামী একটি বাস দ্রুত গতিতে ছুটছিল। নিঘা মোড়ের কাছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডার ভেঙে উল্টো দিকের লেনে পড়ে যায়। সেই সময়ে জেকে নগর থেকে আসানসোলের দিকে যাওয়া আসা একটি চার চাকার গাড়ির সঙ্গে বাসটির ধাক্কা লাগে।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় গাড়ির তিন জন ও বাসের ১৭ জন যাত্রী জখম হন। প্রত্যেককেই উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের মধ্যে গাড়ির এক মহিলা যাত্রীর অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানান। বাসযাত্রী বিশ্বজিৎ পাল ডান পায়ে চোট পেয়েছেন। এ দিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি বলেন, ‘‘ছাতাপাথর এলাকা থেকে বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকে। বাস ওল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে অনেক যাত্রী আমার গায়ের উপরে পড়ে যান। দমবন্ধ অবস্থা। শেষমেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা বাসের আপৎকালীন জানলা ও ছাদের একাংশ ভেঙে আমাদের উদ্ধার করেন।’’ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির যাত্রী জেকে নগরের বাসিন্দা দিলীপ মাজি বলেন, “আমার পিসি-সহ তিন জন আসানসোল হয়ে বাঁকুড়া যাচ্ছিলাম। পিসির অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্ন উঠেছে, জাতীয় সড়কের পথ-নিরাপত্তা নিয়ে। কিছু দিন আগেই এই দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে বোগড়ায় রাস্তা পের হতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক জনের। পরপর এই রাস্তায় দুর্ঘটনার পরে বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়ম না মেনে গতির ধুম চলছে রাস্তায়। প্রায়শই দেখা যায়, ‘ওভারটেক’ও করা হচ্ছে। যানবাহনের গতিতে লাগাম টানার দাবিতে বিক্ষোভ-অবরোধ হলে প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এ ক্ষেত্রেও বাসের গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। দু’টিরই চালক পলাতক।