মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র
মোটরবাইককে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল যাত্রিবাহী বাস। এই ঘটনায় মোট তিন জন জখম হয়েছেন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে চিত্তরঞ্জন থানার ফতেপুর এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে একটি দূরপাল্লার যাত্রিবাহী বাস আসানসোল থেকে চিত্তরঞ্জনে যাচ্ছিল। ফতেপুরের কাছে বাসটি সামনে যাওয়া একটি মোটরবাইককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ডান দিকে বাঁক নিয়ে রাস্তার পাশের জমিতে নেমে যায়। তার পরে একটি গাছে সজোরে ধাক্কা মারে বাসটি। অন্য দিকে, মোটরবাইক আরোহীও ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান।
বিকট শব্দ পেয়ে দ্রুত এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জখম সবাইকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন কারখানার কস্তুরবা গাঁধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানায়, মৃত এসপি ঝা (৩৮) পেশায় রেলকর্মী।
এ দিনের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, রাস্তা ভাল হওয়ায় বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে বাসগুলি। রাস্তার মাঝে একাধিক বাঁক থাকলেও সে দিকে নজর দেন না চালকেরা। অন্য দিকে, শহরের চারদিকে রেল আবাসন থাকায় সর্বক্ষণই আবাসিকেরা নানা কাজে স্কুটার, মোটরবাইক চালিয়ে যাতায়াত করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাসিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চিত্তরঞ্জয় রেল ইঞ্জিন কারখানার তরফে বহু বার বাস চালকদের নির্ধারিত গতিতে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বাস চালকেরা লাগামছাড়া গতিতে বাস চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এ দিনের দুর্ঘটনার জন্যও বাসটির লাগামছাড়া গতির দিকেই আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে ফের পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।