চুরিতে ফের ধৃত দু’জন

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে কেতুগ্রামের মাঠপাড়া থেকে ধরা হয় টিঙ্কু শেখ নামে এক যুবককে। তাকে জেরা করে বেঙ্গুটিপাড়ার যুবক মুরুদ্দিন (ওরফে মুরাই) শেখের সন্ধান মেলে। বাড়ি থেকেই তাকে ধরে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অট্টহাস মন্দিরে চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে ফের দু’জনকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মন্দিরে চুরির অভিযোগে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে কেতুগ্রামের মাঠপাড়া থেকে ধরা হয় টিঙ্কু শেখ নামে এক যুবককে। তাকে জেরা করে বেঙ্গুটিপাড়ার যুবক মুরুদ্দিন (ওরফে মুরাই) শেখের সন্ধান মেলে। বাড়ি থেকেই তাকে ধরে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, মুরাইয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোটরবাইকটি চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গুটিপাড়া থেকে ইসমাইল খলিফাকে, সোমবার মীর সাইদুল (ওরফে আনন্দ) এবং অগ্রদ্বীপের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অভিজিৎ দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, মঙ্গলবারই ইসমাইলের সঙ্গে ধরা হয় বীরভূমের কীর্ণাহার বাজারের বাসিন্দা, পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী পার্থসারথি দাসকে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, পার্থসারথিকে চোরাই গয়না বিক্রি করেছিল মীর ও ইসমাইল। এই দু’জনের বেঙ্গুটিপাড়াতেই আলাপ হয়। তদন্তকারীরা জানান, চুরির জায়গার যাবতীয় খুঁটিনাটি জোগাড় করতেন মীর। তার পরেই চলত চুরি। দু’জনে মিলে বেশ কয়েকটি চুরিও করে বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের সঙ্গে চুরিতে হাত পাকায় টিঙ্কুও। পুলিশ জানায়, এই দু’জনের সূত্রেই ব্যবসায়ী অভিজিৎ ও পার্থসারথির খোঁজ মেলে। পাশাপাশি, অভিজিৎকে জেরা করে তাঁর গয়নার দোকান থেকে ‘চোরাই’ হার উদ্ধার করা হয়।

ধৃত টিঙ্কু ও মুরুদ্দিনকে শুক্রবার কাটোয়া আদালতে তোলা হলে প্রথম জনের তিন দিন পুলিশ হেফাজত ও দ্বিতীয় জনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের জেরা করে আর কোথায় কোথায় চুরির ঘটনার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে খোঁজখবর করার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন