প্রতারণায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমান আদালতে প্রতারণার মামলা করেন জামুড়িয়ার বাসিন্দা সুদেষ্ণা সরকার ও তাঁর স্বামী অরূপ সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০১:১২
Share:

চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমান আদালতে প্রতারণার মামলা করেন জামুড়িয়ার বাসিন্দা সুদেষ্ণা সরকার ও তাঁর স্বামী অরূপ সরকার। তাঁদের অভিযোগ, ২০১২ সালে জেলা জজের বিভিন্ন দফতরে একাধিক পদের পরীক্ষা হয়। তাতেই সুদেষ্ণাকে চাকরি দেওয়া নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই কাউন্সিলর। তাঁর কথামতো পম্পাদেবীর শ্বশুর হারাধন ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দেন তাঁরা। পরে আরও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দেন পম্পাদেবীর অ্যাকাউন্টে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি না হওয়ায় ফের ওই কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযোগ, চাকরির প্রসঙ্গে তুললেই হুমকি দেওয়া শুরু হয়। এমনকী, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জামুড়িয়ার রাজপুর নন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক অরূপবাবুর চাকরি খাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই এ দিন বর্ধমান আদালতে মামলা করেন তাঁরা। ওই দম্পতির দাবি, পম্পাদেবীর শ্বশুর হারাধনবাবু ও স্বামী মনোজবাবু এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। তাঁদের আইনজীবী সদন তা বলেন, ‘‘পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, সে নথি আমাদের কাছ রয়েছে। পালানোর পথ নেই।’’ বিচারক মহিলা থানাকে মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও পম্পাদেবীর দাবি, ‘‘অরূপ সরকারের নামে শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে। তার প্রতিশোধ নিতেই এই মিথ্যা মামলা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন