Freight Corridor

আসানসোলে রেলের ফ্রেট করিডর তৈরিতে বাধা, অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

রেলের ফ্রেট করিডর করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আসানসোলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অস্থায়ী দোকানের মালিকদের সঙ্গে নিয়ে ফ্রেট করিডরের কাজ বন্ধ করে দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১৩
Share:

রেলের কর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালেন তৃণমূল কাউন্সিলর। নিজস্ব চিত্র।

শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ফ্রেট করিডরের কাজ। বুধবার সেই কাজ করতে গিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দোকানদারদের কাছে বাধা পেল রেল! রেলের ফ্রেট করিডর করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল আসানসোল পুরনিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপা হালদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্থানীয় অস্থায়ী দোকানের মালিকদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফ্রেট করিডরের কাজ বন্ধ করে দেন গোপা। বিক্ষোভের জেরে রেলের নিজস্ব কোয়ার্টার ভাঙতে আসা বুলডোজারও ফিরে যেতে বাধ্য হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।

Advertisement

বিক্ষোভ দেখাতে আসা দোকানদারদের দাবি, রেল ফ্রেট করিডর বানালে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু যে দোকানদারদের উচ্ছেদ করা হবে, তাঁদের যেন রাস্তার ধারে ভাল জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হয়। তা না দিলে তাঁরা কোনও মতেই রেলের কাজ করতে দেবেন না বলেও দোকানদাররা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্য দিকে, রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেললাইনের কাজ করার সময় শুধু মাত্র তাঁদেরই জমির টাকা দেওয়া হবে, যাঁদের কাছে জমির সঠিক কাগজপত্র রয়েছে।

রেলের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পুনর্বাসন দিতে হবে রেলকে। রেলের কোনও ফাঁকা জমিতে দোকানদারদের আবার দোকান বানিয়ে ব্যবসা করতে দিতে হবে। রেল আগে নিজের ঘর ভাঙুক, কোয়ার্টার ভাঙুক, তার পরে জনবসতিপূর্ণ এলাকাতে কাজ করতে আসুক। বিগত আড়াই বছর ধরে এই আন্দোলন চলছে। রেল মনে করলে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারত। কিন্তু দেয়নি।’’

Advertisement

অন্য দিকে, বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির মন্তব্য, ‘‘মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষদের সঙ্গে নাটক করছেন। যখন এই ফ্রেট করিডর বানানোর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছিল, তখন সমস্ত কাজকর্মের সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু দোকানদার এবং ভাড়াটিয়াকে ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলা হয়নি। এখন যখন রেলের তরফে ভাঙতে এসেছে তখন বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়ে সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।’’

জিতেন্দ্রর দাবি, স্থানীয় বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ, মেয়র সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের। তা হলে বৈঠকের সময় গরিব মানুষদের কথা কেন বলা হয়নি? প্রশ্ন তুলেছেন জিতেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা, কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী থাকার সময় দেশ জুড়ে মালগাড়ি চলাচলের আলাদা লাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার জেরেই ফ্রেট করিডরের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্রেট করিডরের কাজ চলছে। সম্প্রতি রাজ্যে এই করিডর তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে রেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন