শিল্পে ‘ব্যর্থ’ কেন্দ্র, প্রচারে অস্ত্র তৃণমূলের

২০১৪ সালে আসানসোল থেকে জিতে সাংসদ হন বিজেপি-র বাবুল সুপ্রিয়। দিন কয়েক আগে দলের বুথ স্তরের যুবকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বাবুল ও বিজেপি-র জেলা নেতারা। আসন্ন লোকসভা ভোটে আসানসোল ফের নিজেদের দখলে রাখতে দলের প্রচারের পদ্ধতি প্রশিক্ষণের জন্যই এই বৈঠক হয় বলে বিজেপি নেতারা জানান। এর দিন কয়েক পরেই দলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল নেতৃত্বও এ বার আসানসোল নিজেদের দখলে আনার জন্য মাঠে নামার বার্তা দিলেন কর্মীদের।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০১:২২
Share:

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ঝাঁপ বন্ধ থেকে কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের ‘ব্যর্থতা’, লোকসভা ভোটে আসানসোলে জিততে প্রচারে এই বিষয়ই হাতিয়ার করতে চায় তৃণমূল। বুধবার জেলা কমিটির সাংগঠনিক বৈঠকে সেই রকম বার্তাই দিয়েছেন নেতারা। সেই সঙ্গে দল থেকে নানা কারণে যাঁরা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশও কর্মীদের দেওয়া হয়েছে বলে জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর।

Advertisement

২০১৪ সালে আসানসোল থেকে জিতে সাংসদ হন বিজেপি-র বাবুল সুপ্রিয়। দিন কয়েক আগে দলের বুথ স্তরের যুবকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বাবুল ও বিজেপি-র জেলা নেতারা। আসন্ন লোকসভা ভোটে আসানসোল ফের নিজেদের দখলে রাখতে দলের প্রচারের পদ্ধতি প্রশিক্ষণের জন্যই এই বৈঠক হয় বলে বিজেপি নেতারা জানান। এর দিন কয়েক পরেই দলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল নেতৃত্বও এ বার আসানসোল নিজেদের দখলে আনার জন্য মাঠে নামার বার্তা দিলেন কর্মীদের।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন জানান, সম্প্রতি কলকাতায় দলের বৈঠকে তাঁরা নেতৃত্বকে কথা দিয়েছেন, আসানসোলে এ বার দল জিতবে। সেই লক্ষ্যে প্রচারে নামার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন কারণে যাঁরা এখনও দল থেকে মুখ ঘুরিয়ে রয়েছেন, সেই সব নেতা-কর্মীদের আমরা অনুরোধ করেছি সব বিভেদ মুছে কাজে নামুন।’’ নিচুতলার কর্মীদেরও ওই সব নেতা-কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিবদাসন।

Advertisement

জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি, ভোটের প্রচারে মানুষের কাছে কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যর্থতা ও একের পর এক কারখানা, খনি বন্ধ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও কর্মীদের তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিবদাসন জানান, গত পাঁচ বছরে এই শিল্পাঞ্চলের জন্য একটিও বড় প্রকল্প আনতে পারেনি কেন্দ্র। ফলে, কর্মসংস্থানের ভাঁড়ার শূন্য। উল্টে, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। ষোলোটি খনি বন্ধের প্রস্তাব হয়েছে। শিবদাসনের কথায়, ‘‘আসানসোলে কেন্দ্রীয় শিল্প-ক্ষেত্রের শোচনীয় অবস্থার কথা আমাদের প্রচারের মুখ্য বিষয়।’’

সাংসদ বাবুল অবশ্য জানান, গত পাঁচ বছরে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর তহবিল থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কুমারপুরে উড়ালপুল নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা, ইএসআই হাসপাতালের জন্য আরও ৫০ কোটির বিশেষ অনুদান এসেছে। আদর্শ গ্রামের জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা। বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে সাংসদের কাজের ধারা শহরের মানুষ দেখেছেন। তাঁরা ঠিক বুঝে নেবেন, কোথায় ভোট দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন