Bankura Accident Case

দুর্ঘটনা নিয়ে তরজা, গাড়িচালকের শার্টের কলার ধরে ৩ কিমি রাস্তা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেলেন লরিচালক!

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে পর্যটকদের একটি দল চারচাকার একটি গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল। প্রথমে তারা ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে যায়। সেখান থেকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দিঘার দিকে যাচ্ছিলেন পর্যটকেরা। তখনই ওই ঘটনা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটকদের একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি লরি। ওই নিয়ে তুলকালাম বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার এক নম্বর ক্যাম্প এলাকায়। বচসার মাঝে পর্যটকদের গাড়িচালকের শার্টের কলার ঘরে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা লরি চালিয়ে নিয়ে গেলেন চালক। লরির বাইরে ঝুলতে ঝুলতে গুরুতর জখম হয়েছেন গাড়িচালক।

Advertisement

অনেক পরে লরিটিকে ধাওয়া করে ধরে জনতা। বেধড়ক মারধর করা হয় চালককে। এমনকি, পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতি হয়েছে। শেষমেশ লরি এবং গাড়িচালককে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে পর্যটকদের একটি দল চারচাকার একটি গাড়ি নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল। প্রথমে তারা ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে যায়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দিঘার দিকে যাচ্ছিলেন ওই পর্যটকেরা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার ১ নম্বর ক্যাম্পের সামনে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে আসা লোহার রডবোঝাই একটি লরি তাঁদের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। ওই নিয়ে দুই পক্ষের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ওই সময় লরিচালক চারচাকা গাড়ির চালকের জামার কলার ধরে প্রচণ্ড গতিতে লরি চালাতে শুরু করেন।

Advertisement

ওই ভাবে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পরে স্থানীয়েরা ধাওয়া করে আটক করেন ওই লরিচালককে। শুরু হয় মারধর।

পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও বচসা হয় উত্তেজিত জনতার। এমনকি, পুলিশকর্মীদের কয়েক জন ধাক্কাধাক্কিও করেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুই চালককেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অজিতকুমার দে নামে এক পর্যটকের দাবি, ‘‘আমাদের গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। ধাক্কা দিয়েছিল লরিটি। ওই নিয়ে বলতে যেতে লরিচালকই খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। উনি মত্ত অবস্থায় লরি চালাচ্ছিলেন। আমাদের গাড়িচালকের জামার কলার চেপে ধরে লরির স্টিয়ারিং ধরেন তিনি। পরে এলাকার মানুষজন ধাওয়া করে লরিটিকে ধরেছেন।’’ তিনি জানান, গাড়িচালকের দুই পায়ের আঘাত গুরুতর। অন্য দিকে, স্থানীয় বাসিন্দা আসগর বায়েন বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে পুলিশের নজরদারির ঢিলেঢালা ব্যবস্থার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে জাতীয় সড়কে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement