SIR in West Bengal

একসঙ্গে দু’টি এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন! ভোটারকেই শো কজ় করল নির্বাচন কমিশন, কী কী গাফিলতির অভিযোগ?

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় গাফিলতির জন্য বুথ স্তরের আধিকারিকদের (বিএলও) শো কজ়ের ঘটনা বিরল নয়। কিন্তু ভোটার বা নির্বাচককে শো কজ় করার ঘটনা এই প্রথম।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৪
Share:

বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম জমা নিয়েছেন বিএলও-রা। —ফাইল চিত্র।

একসঙ্গে দু’টি এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে শো কজ় করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, দু’টি পৃথক জায়গা থেকে পৃথক ফর্ম তিনি জমা দিয়েছেন। তাতে সইও রয়েছে ভিন্ন। কেন দু’টি ফর্ম তাঁর নামে জমা পড়ল, জবাব চেয়েছে কমিশন। ওই ভোটারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁকে নিজের অবস্থান জানাতে হবে।

Advertisement

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় গাফিলতির জন্য বুথ স্তরের আধিকারিকদের (বিএলও) শো কজ়ের ঘটনা বিরল নয়। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে একাধিক বিএলও-র কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। কিন্তু ভোটার বা নির্বাচককে শো কজ় করার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এবং উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর— দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই ভোটার হিসাবে নাম তুলেছেন। দুই জায়গাতে তাঁর নামে এনুমারেশন ফর্ম গিয়েছিল। তিনি দু’টি ফর্ম পূরণ করে নির্দিষ্ট বিএলও-র কাছে জমা দিয়েছেন। একটি ফর্মে নিজে সই করেছেন। কিন্তু অন্য ফর্মটিতে তাঁর পরিবর্তে সই রয়েছে অন্য এক জনের। অভিযুক্তের কাছে এই জটিলতার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

একাধিক জায়গার ভোটার হিসাবে তালিকায় নাম অনেকেরই রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে সব জায়গাতেই এনুমারেশন ফর্ম এসেছে। কিন্তু তিনি যেখানকার ভোটার থাকতে চান, সেখানকার একটি ফর্মই তাঁর পূরণ করার কথা। সব এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটার ইচ্ছাকৃত ভাবে দুই জায়গার ফর্ম পূরণ করেছেন, না কি অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে, কমিশন তা জানতে চায়। তাঁর হয়ে পরিবারের অন্য কেউ ফর্মে সই করে দিয়েছেন কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে দু’টি ফর্ম পূরণের প্রমাণ পায় কমিশন, তবে ওই ভোটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে।

Advertisement

গত ৪ নভেম্বর থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু করেছিল কমিশন। তা চলেছে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তার পর ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। সেখানে নাম রয়েছে কি না, এপিক নম্বর দিয়ে নিজেরাই দেখে নিতে পারছেন ভোটারেরা। পশ্চিমবঙ্গে খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ মৃত, কেউ অনুপস্থিত বা নিখোঁজ। আবার, ঠিকানা পরিবর্তন হওয়ার কারণে একটি জায়গা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কমিশনের তরফে সন্দেহজনক ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হবে। এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাঁদের তথ্য যাচাইয়ের পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement