হুমকি-পোস্টারে চাপানউতোর

বিজয়-উৎসব হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলে। তার আগেই ‘বিজেপি করলে লাশ ফেলে দেব’ লেখা পোস্টার বাড়ি বাড়ি সাঁটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান শহরের রথতলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০০:২৯
Share:

বিতকির্ত পোস্টার। নিজস্ব চিত্র

বিজয়-উৎসব হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলে। তার আগেই ‘বিজেপি করলে লাশ ফেলে দেব’ লেখা পোস্টার বাড়ি বাড়ি সাঁটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান শহরের রথতলায়। এ দিন দুপুরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিজেপি, তৃণমূলেও। ঘটনার তদন্তে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

এ দিন সকালে রথতলা নতুনপল্লির অজয় পোদ্দার, প্রশান্ত রায় ও পুরাতনপল্লির আশীষ মজুমদারের বাড়ির দেওয়ালে ওই পোস্টার দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, সাদা কাগজে হাতে লেখা ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘এই এলাকায় বিজেপি পতাকা লাগানো যাবে না, বিজেপি মিছিল করা যাবে না। এই কাজ যারা করবে, তাদের মেরে লাশ গায়েব করা হবে।’ পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘জয় বাংলা’।

এলাকার বিজেপি কর্মী পুতুল পোদ্দারের অভিযোগ, “ক্রমাগত হুমকি দেওয়ার পরেও বিজেপিকে দমানো যাচ্ছে না দেখে তৃণমূল মাওবাদী কায়দায় পোস্টার টাঙিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছে। আমরা এ সবে ভয় পাচ্ছি না। কিন্তু এ ভাবে অত্যাচার করার মানে কী?” আর এক বিজেপি কর্মী শ্যামল সরকারের দাবি, “বিকেলে বিজয় উৎসব ভেস্তে দেওয়ার জন্যেই তৃণমূল এ সব চক্রান্ত করেছে। কিন্তু আমরা বিজয় উৎসব করে ১০ হাজার লাড্ডু বিলি করেছি।’’ বিজেপির দাবি, এ দিন বিকেলে কার্জন গেটের একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল-সিপিএম ছেড়ে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর দাবি, “শহরের মধ্যে রথতলা-কাঞ্চননগর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হত। সেই ঘাঁটির ভিত দুর্বল হয়ে গিয়েছে বলেই প্রথমে ভয় দেখিয়েছিল। তাতেও ফল হয়নি দেখে পোস্টার মেরে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখছে তৃণমূল। ওই এলাকার বাসিন্দা তথা দলের জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন, “যাঁরা এই অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা অনেক দিন ধরেই এলাকায় বিজেপি করেন। নতুনদের চাপে তাঁরা দলে কোণঠাসা। পুরনোরা দলে জায়গা পেতেই আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement