তৃণমূল সদস্যকে মারের অভিযোগ

পুলিশ জানায়, ওই রাতে বৈদ্যনাথপুরে নিজের বাড়িতে খেতে বসেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দগোপাল গড়াই। অভিযোগ, আচমকা কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে তাঁকে জোর করে বাড়ির সামনের একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়। আরও কয়েকজন ওই সময় চলে এসে গোবিন্দগোপালবাবুর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২০
Share:

হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল সদস্যকে বাড়ি থেকে বার করে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে লাউদোহার বৈদ্যনাথপুরের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই রাতে বৈদ্যনাথপুরে নিজের বাড়িতে খেতে বসেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দগোপাল গড়াই। অভিযোগ, আচমকা কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে তাঁকে জোর করে বাড়ির সামনের একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়। আরও কয়েকজন ওই সময় চলে এসে গোবিন্দগোপালবাবুর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। মারের চোটে ওই পঞ্চায়েত সদস্য অ়জ্ঞান হয়ে যান। দুষ্কৃতীরাও চম্পট দেয়। এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকেই তাঁর অভিযোগ, ‘‘সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে এলাকা অশান্ত করতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীদের কাউকে কাউকে তিনি চিনতে পেরেছেন। পুলিশকে তাদের নাম জানাবেন।

তবে ঘটনায় দলের কারও জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কয়লা ও বালির বখরা নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।’’ দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু লোক এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। পুলিশ ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করলেই দোষীরা ধরা পড়বে।’’ পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন