পঞ্চায়েতে ঢুকে সদস্যকে মার, অভিযুক্ত দলেরই কর্মী

ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং ব্লক যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে গোলমালের জেরে প্রায়ই তেতে ওঠে ওই গ্রাম। বুধবার পঞ্চায়েতের ভিতরেই রামপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা জাকির হোসেনের অনুগামী জয়দেব ঘোষকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৩
Share:

তালাবন্ধ রামপুরের তৃণমূল পার্টি অফিস। নিজস্ব চিত্র

কয়েক মাস আগে দলেরই কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। এ বার পঞ্চায়েত ভবনে এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার গলসি ১ ব্লকের পোতনা-পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং ব্লক যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে গোলমালের জেরে প্রায়ই তেতে ওঠে ওই গ্রাম। বুধবার পঞ্চায়েতের ভিতরেই রামপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা জাকির হোসেনের অনুগামী জয়দেব ঘোষকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় গ্রামের বাসিন্দা রাজু ঘোষ, পার্থ ঘোষ-সহ দশ জনের নামে অভিযোগও করেন জয়দেববাবু। দলীয় সূত্রের খবর, রাজু দলের ব্লক যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডলের অনুগামী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয়দেবের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী লড়েছিলেন বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। যদিও জয়ী হন জয়দেববাবু। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে উভয়পক্ষের বিবাদ আরও প্রকট হয়। অভিযোগ, রাজুর নেতৃত্বে দলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এখনও সেখানে তালা ঝুলছে। দিন কয়েক আগে দলের কর্মী মিলন ঘোষকেও তাঁর নেতৃত্বেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা য়ায়, এ দিন সহায়ক মূল্যে ধান কেনার টোকেন বিলি নিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল প্রধান বিলকিস বেগমের। অভিযোগ, বৈঠক শুরুর আগেই রাজুর নেতৃত্বে জয়দেববাবুর উপরে হামলা হয়। জয়দেববাবু বলেন, ‘‘আমি কেন পঞ্চায়েতে অফিসে গিয়েছি তা জানতে চেয়ে আমার উপর আক্রমণ করে রাজুরা। কিল, চড়, ঘুষি মারতে মরতে আমাকে বাইরে নিয়ে যায়। সেখানেও মারে। পরে বাড়িতেও হামলা চালায়।’’ তাঁর বাবা শঙ্করবাবু ও ভাই সঞ্জীবকেও মারধর করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

একই অভিযোগ দলের ব্লক সভাপতির। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের ভিতরে হামলা ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’

যদিও দলের ব্লক যুব সভাপতির দাবি, ‘‘ঠিক কি হয়েছে জানি না। তবে শুনেছি গ্রামের মানুষ ধান বিক্রি করতে পারছে না। তাই পঞ্চায়েতে গিয়ে গ্রামের সদস্যকে মারধর করেছেন কেউ কেউ। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’ প্রধান বলেন, ‘‘আমি তখন পঞ্চায়েতে পৌঁছতেই পারিনি। পরে পঞ্চায়েতে এসে শুনেছি এক সদস্যের উপর হামলা হয়েছে। আমরা আতঙ্কিত। বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়েছে।’’ বিডিও বিনয় মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন