শাস্তির দাবিতে পোস্টার আদালত চত্বরে। নিজস্ব চিত্র।
বছর পাঁচেক আগে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার বছরেই দলের বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়ে গিয়েছিলেন কেতুগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কৃপাসিন্ধু সাহা। অভিযোগ ছিল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই তাঁকে খুন হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ওই মামলায় রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। তবে তা এক দিনের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে। সরকারি আইনজীবী তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, প্রতক্ষ্যদর্শী-সহ ১৪জন সাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষী দিয়েছেন মৃতের স্ত্রী, ভাই ও শালা। কিন্তু নথি সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলায়। আজ, বুধবার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন কাটোয়া অতিরিক্ত দায়রা আদালতে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন কান্দরা গ্রামের কৃপাসিন্ধুবাবু আত্মীয়-পরিজনেরা। স্ত্রী, দুই মেয়ে তো বটেই প্রায় শ’তিনেক গ্রামবাসীকে এ দিন অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে পোস্টার হাতে দেখা যায় আদালত চত্বরে। তবে সকাল থেকে অপেক্ষা করার পরে বিকেল তিনটে নাগাদ বিচারক জানান, রায় ঘোষণা হবে বুধবার। কৃপাসিন্ধুবাবুর স্ত্রী মধুমিতাদেবী ও দুই মেয়ে কাবেরী ও করবী জানান, ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কেতুগ্রামের মালগ্রামে ব্যবসার কাজ সেরে আমগড়িয়া ক্যানাল পাড় ধরে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কৃপাসিন্ধুবাবু। সঙ্গে ছিলেন তারাশঙ্কর পণ্ডিত নামে এক জন। মাঝপথেই মোটরবাইর থামিয়ে গুলি করে, পরে গাছের ডাল দিয়ে থেঁতলে তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে হারা শেখ, চাঁদ শেখ, আসাদুল শেখ নামে তিন তৃণমূলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃপাবাবু। পরে হারা শেখকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা হয় আসাদুলকেও। পরে চাঁদ শেখ আত্মসমপর্ণ করেন।