চলন্ত ট্রেনে ছিনতাইয়ের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ বর্ধমানের পর্যটকেরা

ভাতছালার বাসিন্দা লালু সরকার বর্ধমানে রেলপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ বর্ধমানের কিছু বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত।

চলন্ত ট্রেনে পরপর ব্যাগ ছিনতাই করে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। রক্সৌল-হাওড়া এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময়ে বিহারের লখীসরাই এলাকায় তাঁরা এই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ বর্ধমানের কিছু বাসিন্দার। রবিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছনোর পরে রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘটনার পরে আরপিএফের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বা চেন টেনে গাড়ি থামানোর পরেও আরপিএফ বা রেলের কর্মীদের দেখা পাননি তাঁরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বিহারের রেলপুলিশ।

Advertisement

বর্ধমান শহরের রথতলা, ভাতছালা, বড়নীলপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫ জনের একটি দল ১১ মার্চ নেপাল গিয়েছিল। সেখান থেকে দলটি বিহারের রক্সৌলে আসে। শনিবার রাতে ট্রেন ধরে বর্ধমানে ফিরছিলেন ওই পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় এক সঙ্গেই ছিলেন তাঁরা সবাই। ভোর সওয়া ৪টে নাগাদ বিহারের দানাপুর ডিভিশনের লখীসরাই এলাকায় চার জনের একটি দল কামরার দু’দিক থেকে টর্চের আলো দিয়ে দেখে যায়। তাঁরা ভেবেছিলেন, রেলপুলিশ বা টিকিট পরীক্ষক নজরদারি চালাচ্ছেন। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই ছুরি হাতে এসে তাঁদের ব্যাগপত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মেরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওই যাত্রীদের।

ভাতছালার বাসিন্দা লালু সরকার বর্ধমানে রেলপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। দরকারি নথিপত্র, মোবাইল, টাকা খোয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি। রথতলার উত্তম কর্মকার, ভাতছালার উত্তম হাজরারা বলেন, “প্রথমে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। চিৎকার শুনে মনে করেছিলাম, কেউ বোধহয় ট্রেন থেকে পড়ে গেল! তার পরে দেখি ব্যাগ নিয়ে চার জন চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছে।’’ পর্যটকদের দাবি, কামরার এক জন শেষ মুহূর্তে দুষ্কৃতীদের আটকাতে গিয়েছিল। কিন্তু চাকু দেখিয়ে তারা পালিয়ে যায়। বড়নীলপুরের শর্মিলা দাসের অভিযোগ, “আমার কাছ থেকে এমন ভাবে ব্যাগ ছিনতাই করেছে, আমি সিট থেকে একেবারে নীচে পড়ে গিয়েছি।’’ ছোটন দাস, রিনা কর্মকার, সোমা দাসেরা অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পরেই রেলের ১৮২ নম্বরে ফোন করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। তার পরে ট্রেনের চেন টানা হয়। গাড়ি ১২-১৩ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেও আরপিএফ বা রেলকর্মীদের দেখা মেলেনি বলে তাঁদের দাবি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হাওড়া ডিভিশনের রেলপুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট দফতরের মাধ্যমে এই অভিযোগ তদন্তের জন্য রেলপুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে। বিহার রেলপুলিশ জানায়, তাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। তবে বর্ধমানের রেলপুলিশ ফোনে ঘটনার কথা জানিয়েছে। রেলপুলিশের সুপার (জামালপুর) মহম্মদ আমির জাভেদ রবিবার বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন