ছন্দে: আউশগ্রামের যাদবগঞ্জে অনুষ্ঠান। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
নতুন বছরকে এখানে স্বাগত জানানো হয় ধামসা-মাদলের সুরে। আউশগ্রামের যাদবগঞ্জে চৈত্র-সংক্রান্তির রাতে নাচ-গানের ছন্দে এ ভাবেই মাতলেন আদিবাসী শিল্পীরা। তার পরে শনিবার বসেছিল মেলাও।
উদ্যোক্তাদের তরফে শিবচরণ হেমব্রম, সোমচাঁদ মাহালিরা শনিবার জানিয়েছেন, প্রায় এক শতাব্দী আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেলা শুরু হয়। বর্তমানে তা অবশ্য সর্বজনীন চেহারা নিয়েছে। মেলায় এলাকার পাশাপাশি ভিন্ জেলা, এমনকী ঝাড়খন্ড থেকেও আদিবাসীরা যোগ দেন।
চড়কের মূল অনুষ্ঠানে দেখা যায়, শাল কাঠের একটি খুঁটিকে পুজো করা হচ্ছে। তার আগে হয়ে গিয়েছে ‘বাণেশ্বর’-এর পুজো। যোগ দেন সন্ন্যাসীরাও। তাঁরা ফুল ছোড়েন দর্শকদের লক্ষ করে। তখনই শুরু হয় আদিবাসী নৃত্যের ছন্দ।
এই বিষয়ে লোক-সংস্কৃতি গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন, “এটি মিশ্র সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন। সাধারণত, চড়ক অনুষ্ঠিত হয় চৈত্র সংক্রান্তির দিন। এখানে হয় তার পরের দিন। এই উৎসব এলাকায় নানা ধর্ম-মতের সহাবস্থানেরও নজির।’’
মেলার উদ্বোধনে যোগ দিয়েছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, বর্ধমান সদর উত্তরের মহকুমাশাসক মুফতি সামিম সৌকত, বিডিও চিত্তজিৎ বসু প্রমুখ।
ব্লক প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, নাচের দলগুলিকে আর্থিক সাহায্য ও পুরস্কার দেওয়া হয়। মেলা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে পানীয় জল, শৌচাগার, চিকিৎসক দল প্রভৃতিরও ব্যবস্থা করে প্রশাসন।