পাঁচ দিন ধরে সিলিন্ডার তোলা-নামানোর কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আইওসিএলের গ্যাস সরবরাহ। বিপাকে পড়েছে জেলাগুলিতে ছড়িয়ে থাকা শ’দুয়েক গ্যাস এজেন্সি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সংস্থার বটলিং প্ল্যান্টে ট্রাকে সিলিন্ডার তোলা-নামানোয় যুক্ত ঠিকাকর্মীদের একাংশের অসহযোগিতার জেরে দিনে গড়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা হারে ক্ষতি হচ্ছে বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। চার মাস ধরে পরিস্থিতি না বদলানোয় বুধবার থেকে পরিবহণেকারীদের তরফে ১১২ জন ঠিকাকর্মীর মধ্যে ৮৫ জনের গেটপাস বাতিল করা হয়। তার পর থেকেই ঠিকাকর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। প্ল্যান্ট চালু করার জন্য দফায়-দফায় বৈঠক করেছে প্রশাসন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এ ভাবে একতরফা ঠিকাকর্মীদের বাতিল করা যায় না। তাঁদের সবাইকে কাজে ফেরানো হোক। তার পরে আলোচনার মাধ্যমে বাকি সমস্যা মেটানো হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে ২৮ জন পরিবহণকারীর মোট ২২৯টি ট্রাক চলে প্ল্যান্টে। দফায়-দফায় বৈঠকের পরে প্রথম দিকে অনড় থাকলেও পরে পরিবহণকারীরা জানান, ২৬ জন বাদে বাকিদের তাঁরা ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু প্রশাসন সবাইকে ফিরিয়ে নিতে বলে। রবিবার পরিবহণকারীরা কলকাতায় নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পরেও ২৬ জনকে বাদ রাখার দাবিতে অনড়। এই দাবি মেনে প্ল্যান্ট চালু করার পরে আলোচনা হতে পারে বলে তাঁরা জানান।