স্কুলবাসে ট্রাকের ধাক্কা, জখম ১২ পড়ুয়া

ট্রাকের সঙ্গে স্কুলবাসের মুখোমুখি ধাক্কায় জখম ১২ জন ছাত্র। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ মেমারি কলেজ লাগোয়া এলাকায় জিটি রোডের উপরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় যান চলাচলও বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৭
Share:

দুর্ঘটনার পরে স্তব্ধ জাতীয় সড়ক। শনিবার মেমারিতে তোলা নিজস্ব চিত্র।

ট্রাকের সঙ্গে স্কুলবাসের মুখোমুখি ধাক্কায় জখম ১২ জন ছাত্র। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ মেমারি কলেজ লাগোয়া এলাকায় জিটি রোডের উপরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় যান চলাচলও বন্ধ ছিল।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছিল এলাকায়। মেমারি থানার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি কলেজের কাছে বাঁ দিক দিয়ে স্কুল বাসটি যাচ্ছিল। আচমকা বর্ধমানগামী একটি ফাঁকা ট্রাকটি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বাসটিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি কয়েক মিটার মতো পিছিয়ে যায়। ট্রাকটি ফের রাস্তা লাগোয়া একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে। দশম শ্রেণির পড়ুয়া মেমারির কদমপুকুরের বাসিন্দা রোহন বিশ্বাস বলে, “বাসের পিছনের দিকে বসেছিলাম। আচমকা ধাক্কায় বাসটা খানিক দুলে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।’’ প্রদ্যুৎ মণ্ডল, নওসিন নাওয়ার, সাহিল রক্ষিতেরা জানায়, তারা বাসের সামনে দিকে বসেছিল। ট্রাকের ধাক্কায় টাল সামলাতে না পেরে তারা সিট থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়।

পড়ুয়াদের পাশাপাশি গুরুতর জখম হয়েছেন বাসের চালকও। জখমদের প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও জখম পড়ুয়াই বর্ধমান মেডিক্যালে আসেনি।

Advertisement

দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে মেমারি থানার ওসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা এলাকায় গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ দিনের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিনয় মজুমদারের ক্ষোভ, “অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। তার মাঝেই এই বিপত্তি। বাসটি উল্টে গেলে ফল ভয়ঙ্কর হতে পারতো। যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।” ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাকের চালককেও।

দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা যান নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, পালশিটের টোল প্লাজাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য অনেক সময়েই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ছেড়ে জিটি রোড ধরে বেপরোয়া ভাবে বালি ও পাথরবোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। গত ৭ এপ্রিল মেমারির রসুলপুর বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশও।

অন্য দিকে ওই টোল ফাঁকি দিতে বালি ও পাথর বোঝাই ট্রাকগুলির একাংশ মেমারি-জৌগ্রাম রাস্তা ধরে যাতায়াত করায় ক্ষচি হচ্ছে রাস্তার। শনিবার এই অভিযোগে পথ অবরোধ করেন নুদিপুরের বাসিন্দাদের একাংশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন