খবর ছিল, গাড়িতে পাচার হবে জাল নোট। সেইমতো গাড়ি আটকে দুই আরোহীর কাছে থাকা দু’হাজার টাকার নোটের বান্ডিল নিয়ে গুনতে গিয়ে সন্দেহ হল পুলিশের। বান্ডিলের উপরে বেশ কিছু আসল, তার পরেই জাল নোটের তাড়া! শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ে দু’হাজার টাকার একশোটি জাল নোট-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরের ইস্কো কারখানার ছাঁট লোহার কারবারি বলে পরিচিত রীতেন বসাক ও তাঁর সঙ্গী শুভাশিস আচার্যের কাছে জাল নোট রয়েছে, আগেই সে খবর মিলেছিল। শুক্রবার সে টাকা হাতবদল হবে, এমন তথ্য পেয়েই অভিযান চলে।
পুলিশের দাবি, বার্নপুরের রামবাঁধের বাসিন্দা রীতেন ও হিরাপুরের শান্তিনগরের বাসিন্দা শুভাশিসের কাছ থেকে পঞ্চাশটি করে দু’হাজার টাকার জাল নোট মেলে, যার মোট মূল্য দু’লক্ষ টাকা। পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (ডিডি) জয় টুডু জানান, ধৃতেরা কী ভাবে এই নোটগুলি পেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতেন ওরফে ফুফা ইস্কোয় নানা কাজের ঠিকাদারি করেন। ইদানীং প্রোমোটারিও শুরু করেছিলেন। সব সময়েই তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখে চলেন বলে এলাকাবাসীর একটা বড় অংশের দাবি। যদিও কোনও দলই তাঁকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ বলে মানতে চায়নি। শনিবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির হওয়ার সময়ে রীতেন দাবি করেন, ‘‘আমি কলকাতা থেকে ফিরছিলাম। জাল নোটের বিষয়ে জানি না। আমাকে ফাঁসানো হল।’’ আদালত ধৃতদের সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।