Suicide

Suicide: মায়ের মৃত্যুতে অবসাদ, শোকে অ্যাসিড মেশানো খাবার খেয়ে আত্মঘাতী ২ ভাই, হাসপাতালে বোন

বুধবার রাতে তাঁরা খাবারের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড মিশিয়ে খান বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ওই ফ্ল্যাট থেকে কার্বলিক অ্যাসিড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:২৪
Share:

মায়ের মৃত্যুতে দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা, হাসপাতালে বোন। প্রতীকী ছবি।

অসুস্থ মায়ের মৃত্যুতে অবসাদগ্রস্ত সন্তানেরা। শোকে অ্যাসিড মেশানো খাবার খেয়ে আত্মহত্যা করল দুই ভাই। ওই খাবার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি বোনও। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বার্নপুর স্টেশন রোড এলাকায় ইসকোর আবাসনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসকোর আবাসনের বাসিন্দা বৃদ্ধা গীতা কর (৮১), তাঁর দুই ছেলে জয়ন্ত (৫৯) এবং বিপ্লব (৫২)-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। জয়ন্ত এবং বিপ্লবের বোন মায়া (৫৭)-কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ মনে করছে, গীতার মৃত্যুতে শোকে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন জয়ন্ত, বিপ্লব এবং মায়া। বুধবার রাতে তাঁরা খাবারের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড মিশিয়ে খান বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ওই ফ্ল্যাট থেকে কার্বলিক অ্যাসিড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসানসোলের হীরাপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

গীতার ভাগ্নে অনিল ধর বুধবার বলেন, ‘‘আমার মাইমা এবং মামাতো ভাইয়েরা কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না। ওরা একা একাই থাকত। মামি পাঁচ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, উনি কবে মারা গিয়েছেন। আমার ধারণা, তাঁর মৃত্যুর পরেই দুই ভাই এবং বোন মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ ওরা বার বার বলত, ‘মা বেঁচে না থাকলে আমাদেরও এই সংসারে বেঁচে থাকার কোনও যুক্তি নেই।’মানসিক অবসাদ থেকে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’

Advertisement

একই অনুমান পুলিশেরও। যদিও অন্যান্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য ময়নাতন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি মায়া সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর থেকেও বিষয়টি জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন