দুই দুর্ঘটনা মুচিপাড়ায়, জখম ১৬

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। তারই মধ্যে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে একই জায়গায় দু’টি দুর্ঘটনায় মোট ১৬ জন জখম হলেন। রবিবার দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২১
Share:

দুর্ঘটনাগ্রস্ত: তীর্থযাত্রীদের নিয়ে আসা এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। নিজস্ব চিত্র

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। তারই মধ্যে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে একই জায়গায় দু’টি দুর্ঘটনায় মোট ১৬ জন জখম হলেন। রবিবার দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন ভোর তিনটে নাগাদ একটি বাস মুচিপাড়ার কাছে জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। মোট ৫২ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জখম ১৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। জখমদের মধ্যে ১২ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ যাত্রী রয়েছেন। মহিলাদের অধিকাংশই বয়স্ক। কুন্দা বাঈ নামে এক যাত্রীর বয়স প্রায় ৭০ বছর। এ ছাড়াও অঞ্জনা বাঈ, প্রয়াগ বাঈ, লক্ষ্মী বাঈ-সহ আরও অনেকেই পঞ্চাশোর্ধ্ব।

পুলিশ জানায়, বাসটি মহারাষ্ট্রের নিউগাঁর কোহলি গ্রাম থেকে গত ৪ জানুয়ারি তীর্থযাত্রীদের নিয়ে বেরিয়েছিল। দিল্লি, আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন ঘুরে রবিবার বাসটির গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর কথা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, একটানা বাস চালিয়ে সম্ভবত চোখ লেগে গিয়েছিল চালকের। সেই কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে প্রাথমিক অনুমান।

Advertisement

এ দিন সকালে ওই একই এলাকায় ফের আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ জাতীয় সড়কে ওঠার সময়ে পিছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে অটোটিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর জেরে রাস্তায় ছিটকে যান অটো চালক বলরাম রুইদাস। অটোয় আর কোনও যাত্রী ছিলেন না। অভিযোগ, তাড়াহুড়োয় পালাতে গিয়ে গাড়িটি অটো চালকের হাতের উপর দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রাই বলরামবাবুকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ জানায়, পলাতক ওই গাড়িটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু জাতীয় সড়ক ছ’লেন হওয়ার কাজ শুরুর সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন, এ বার হয়তো দুর্ঘটনায় ইতি পড়বে। রাস্তা সম্প্রসারণের পরে উড়ালপুল খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও দুর্ঘটনায় লাগাম পড়েনি। তার উপরে রাজ্য জুড়ে নানা জায়গায় চলছে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ কর্মসূচি।’ চালকদের সচেতন করতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও লাগাম পড়েনি গতিতে। এই পরিস্থিতিতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ-সহ আরও নানা বিষয়ে নজরদারি ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পথ-নিরাপত্তায় ট্র্যাফিক নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনাটেরে কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন