চাঙড় ভেঙে আহত দুই জুনিয়র ডাক্তার

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে হাসপাতালের নিউ বিল্ডিংয়ের তিনতলায় মেডিসিন বিভাগের ৩০ জন স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস চলছিল। ছিলেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাশগুপ্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তখনই হঠাৎ ছাদের একটি অংশের চাঙড় ভেঙে পড়ে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

এই ঘরেই ঘটেছে বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

ক্লাস চলাকালীন ছাদ থেকে চাঙড় খসে আহত হলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই জুনিয়র ডাক্তার। বৃহস্পতিবার মেডিসিন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন ঘটনাটি ঘটে। এক জনের মাথায় ও এক জনের কাঁধে আঘাত লাগে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে হাসপাতালের নিউ বিল্ডিংয়ের তিনতলায় মেডিসিন বিভাগের ৩০ জন স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস চলছিল। ছিলেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাশগুপ্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তখনই হঠাৎ ছাদের একটি অংশের চাঙড় ভেঙে পড়ে। প্রথমে ফ্যানে লেগে ওই চাঙড় পড়ুয়াদের গায়ে পড়ে। আহত হন সঞ্জয় সেন ও সাত্যকি রায় নামে দুই জুনিয়র ডাক্তার। সঞ্জয় মাথায় ও সাত্যকি কাঁধে আঘাত পান। তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সঞ্জয়ের মাথায় সিটি স্ক্যান করানো হয়। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা সুপারের ঘরে গিয়ে বিষয়টি জানান। তাঁদের অভিযোগ, নিউ বিল্ডিংয়ের বেহাল দশার কথা আগেও অনেক বার জানানো হয়েছিল। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এ দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এ দিন ঘটনার সময়ে ক্লাসে নুরমান আলি শেখ নামে এক ব্যক্তির রোগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। নুরমানের দাদা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই সবাই ওখান থেকে আমরা পালিয়ে আসি।’’ পড়ুয়া নীলাদ্রি কয়াল, তিয়াস সামন্তেরা বলেন, ‘‘ওই ভবনে লিফট-সহ বেশ কিছু জায়গা ভাঙা রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।’’

Advertisement

পড়ুয়াদের নিয়েই এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। ঘটনার পরে মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র ডাক্তারেরা ঘরের স্থায়ী সমাধান না হলে কাজ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারিও দেন। জরুরি বিভাগে কিছুক্ষণ মেডিসিন বিভাগের ডাক্তারের অভাবও দেখা দেয়। যদিও পরে তাঁরা কাজে ফেরেন।

হাসপাতালের ওই ভবনের হাল খারাপ, তা মানছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। সুপার উৎপল দাঁ জানান, ছাত্রদের দাবি ন্যায্য। ঘরগুলি দ্রুত সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বেশ কয়েক বার এ নিয়ে পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এই ঘটনার পরে আবার জানানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। আপাতত ওই ঘরে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।’’ তবে ঘটনার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন