Raju Jha Murder Case

রাজু খুনে বিহার থেকে ধৃত আরও দুই, সব মিলিয়ে গ্রেফতার পাঁচ জন

মুকেশ আবগারি সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন। তার পর থেকে তিনি বৈশালি জেলেই ছিলেন। তাঁকে বৈশালি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানায় সিট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ২৩:৩৪
Share:

কয়লা কারবারি রাজু ঝা। —ফাইল চিত্র।

কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে বড়সড় সাফল্য পেল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম মুকেশ কুমার ও পবন কুমার। বিহারের বৈশালি জেলার মথুরাচকে মুকেশের বাড়ি। পবনের বাড়ি বৈশালি জেলারই জুলুয়ারপুর গোবর্ধনপুরে। সোমবার বৈশালি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

মুকেশ আবগারি সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন। তার পর থেকে তিনি বৈশালি জেলেই ছিলেন। তাঁকে বৈশালি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানায় সিট। সেই আবেদন বর্ধমানের সিজেএম মঞ্জুর করেন। মুকেশ এবং পবন খুনে জড়িত থাকার কথা কবুল করেছেন বলে সিটের দাবি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকটি নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিট সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রেফতারের দিনই ধৃতদের বৈশালি হাজিপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃত দু’জনকে বর্ধমানে আনার কথা জানিয়ে ২ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানায় সিট। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বৈশালি হাজিপুর আদালতের সিজেএম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধৃত দু’জনকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। সেই মতো বুধবার দু’জনকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য টিআই প্যারেডের আবেদন জানায় সিট। সেই আবেদনও মঞ্জুর করে ১ জুলাই বর্ধমান সংশোধনাগারে চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিআই প্যারেড হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

সিট সূত্রে খবর, মুকেশের একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজু খুনের বহু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এ দিকে কলকাতা হাইকোর্টে রাজু খুন নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবির মামলা চলছে। সিবিআই আদালতে রাজু খুনের সঙ্গে গরু ও কয়লা পাচারের যোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। তার ভিত্তিতে ৩০ জুন হলফনামা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

গত ১ এপ্রিল জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায় ল্যাংচা হাবের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রাজু। তিন দুষ্কৃতি তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে বলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে। দুষ্কৃতীরা অপারেশন সেরে তাঁদের ব্যবহার করা নীল গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, শক্তিগড় থেকে মালম্বা হয়ে কাটোয়া থানার জাজিগ্রামে পৌঁছয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়ার দিকে চলে যায় তারা। তদন্তে নেমে সিট মোবাইল কল ডাম্পিং ও নানা টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে বেশকিছু তথ্য পায়। সেই সবের সূত্র ধরে ১৮ এপ্রিল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করে সিট। পরে আরও দু’জন গ্রেফতার হন। সিট সূত্রে দাবি, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এ সবের মধ্যেই খুনের মামলার তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন নরেন্দ্রনাথ খাড়কা নামে এক ব্যবসায়ী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন