প্রতিবেশী যুবককে নিয়ে বচসা? দুর্গাপুরে পুলিশের স্ত্রী’র অপমৃত্যু

পুলিশ জানায়, ঘরের ভিতরে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তন্দ্রাদেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৪
Share:

মৃতা তন্দ্রা ঘোষ। পাশে, তদন্তে পুলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

এক বধূর অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে তন্দ্রা ঘোষ (৪০) নামে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গির ঘটনা। পুলিশ জানায়, তন্দ্রাদেবীর স্বামী সুব্রতবাবু আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির একতলার দু’টি ঘরে স্ত্রী ও একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকেন সুব্রতবাবু। এ দিন সুব্রতবাবু কাজের প্রয়োজনে তারকেশ্বরে গিয়েছিলেন। ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ পাশের ঘরে ভাড়া থাকা এক যুবক তন্দ্রাদেবীকে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে তিনি ভিতরে ঢোকেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে।

পুলিশ জানায়, ঘরের ভিতরে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তন্দ্রাদেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘরের ভিতরে বাসনপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তাই মৃত্যুর আগে কারও সঙ্গে মহিলার হাতাহাতি বা ঝগড়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

সুব্রতবাবুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ রামবিলাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পড়শি যুবকের বাড়িতে আসা-যাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তাঁকে বারণও করা হয়। কিন্তু তিনি শোনেননি।’’ স্থানীয়দের কারও কারও দাবি, প্রতিবেশী ওই যুবকের বাড়িতে আসা-যাওয়া নিয়ে সুব্রতবাবু ও তাঁর ছেলের আপত্তি ছিল। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর ছিল। ওই ঘটনার জেরে তন্দ্রাদেবী আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ওই যুবককে জেরার জন্য আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement