আন্ডারপাসে জল, দুর্ভোগ যাত্রীদের

বাসিন্দাদের দাবি, এক পশলা বৃষ্টি হলেই পায়ে হেঁটে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব। জাতীয় সড়কের দু’পাশে রয়েছে নবীনপল্লি ও গণতন্ত্র কলোনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

এমএএমসি আন্ডারপাস। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়কের নীচে সব সময় জল জমে থাকে। এমনই হাল দুর্গাপুরের এমএএমসি আন্ডারপাসটির। এর জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মোটরবাইক চালক থেকে স্কুল পড়ুয়া, সকলকে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমএএমসি আন্ডারপাসে আগেও বৃষ্টি হলে জল জমত। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তা নেমেও যেত। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য নতুন করে সেতু বানানো হয়েছে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা নতুন করে তৈরি করা হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই আন্ডারপাসের মাঝের অংশে জল জমছে। সেখান থেকে জল নিকাশিরও রাস্তা নেই।

বাসিন্দাদের দাবি, এক পশলা বৃষ্টি হলেই পায়ে হেঁটে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব। জাতীয় সড়কের দু’পাশে রয়েছে নবীনপল্লি ও গণতন্ত্র কলোনি। দুই এলাকার বাসিন্দারাই নানা প্রয়োজনে আন্ডারপাসটি ব্যবহার করেন। গণতন্ত্র কলোনির বাসিন্দা সজল সামন্ত, নবীন পল্লির উপেন্দ্র রাম’রা বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক এত চওড়া হয়ে গিয়েছে যে পারপার করা ঝুঁকির। তাই আমরা আন্ডারপাসটিই ব্যবহার করি। কিন্তু বৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টকর। বাধ্য হয়ে নোংরা জলে পা ডুবিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’’

Advertisement

এমএএমসি কলোনির একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে রয়েছে ডিপিএল কলোনি, ডিসিএল কলোনি, রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর প্রভৃতি এলাকার পড়ুয়ারা। তাদের স্কুলের গাড়ি এ রাস্তা দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে চলাচল করে। বিশ্বনাথ বসু নামে এক জন অভিভাবক বলেন, ‘‘খুব সাবধানে ছেলেকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে যাতায়াত করি। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক এক দিন চাকা প্রায় পুরোটাই জলের তলায় ডুবে যায়।’’ তা ছাড়া জলের নীচে বালি জমে থাকে। এতেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে বলে জানান বাসিন্দারা।

ওই সব এলাকার অনেকেই এমএএমসি মামরা বাজারে বাজার করতে আসেন। একই সমস্যায় পড়েন তাঁরাও। আবার কেউ কেউ সদাব্যস্ত জাতীয় সড়ক এড়াতে ওই আন্ডারপাস দিয়ে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে শহরের অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদেরও। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে আন্ডারপাসের উঁচু করে, উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (সড়ক) অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্ডারপাসটি নির্মাণের দায়িত্বে কাদের তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তার পরে কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন