Biometric of farmers

ধান বিক্রিতে অনিয়ম রোধে, বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করার ভাবনা

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “ধান কেনা নিয়ে অনিয়ম রুখতে আমরা বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছি।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ০৮:৪২
Share:

বোরো মরসুমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে চাইছে খাদ্য দফতর। প্রতীকী চিত্র।

ধান কেনায় অনিয়ম রুখতে বোরো মরসুমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে চাইছে খাদ্য দফতর। একই সঙ্গে, সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রেতা তথা চাষির যাতে ছবি তোলা যায়, সেই পদ্ধতির দিকেও এগোতে চাইছে রাজ্যের খাদ্য ভবন। ইতিমধ্যে খাদ্য দফতরের সহায়ক সংস্থা অত্যাবশকীয় পণ্য নিগমের তরফে প্রতিটি জেলায় চিঠি দিয়ে বোরো মরসুমে ধান কেনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র জোগাড় করতে বলা হয়েছে বলেজানা গিয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “ধান কেনা নিয়ে অনিয়ম রুখতে আমরা বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছি। তার মধ্যে অন্যতম হল, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা। সেই পদ্ধতি চালু হয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন: “বোরো মরসুমের ধান নেওয়ার আগেই বিক্রেতার ছবি তোলার পদ্ধতিও চালু করতে চাইছি।’’ খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে সাতটি জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। খাদ্য দফতর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই সব জেলার চাষিদের অনেক অ্যাকাউন্টে সাময়িক ভাবে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে।

অত্যাবশকীয় পণ্য নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর চিঠিতে প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ই-কেওয়াইসির মধ্যে দিয়ে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ নিয়ে ধান কিনতে হবে। এর জন্যে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা রাজ্যের ৫০২টি ধান্যক্রয় কেন্দ্র, ৪৫টি ভ্রাম্যমাণ ধান্যক্রয় কেন্দ্র, ৮৮৯টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ১০৩২টি সমবায়, ২৮০টি ‘ফামার্স ক্লাব’কে ওই যন্ত্র কিনতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে যন্ত্র ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধান্যক্রয় কেন্দ্রে ওই যন্ত্র চালু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

দফতর সূত্রে জানা যায়, সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য চাষিকে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হত। মাঝপথে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলানো যেত। তদন্তে নেমে খাদ্য দফতর এমন তথ্য পেয়েছে যে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক লেনদেনের পরেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে। সে জন্য দফতরের কর্তারা ঠিক করেছেন, মাঝপথে কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা যাবে না। পুরো মরসুমের জন্যই রেজিস্ট্রেশনে থাকা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খাদ্য দফতরের সঙ্গে লেনদেন করতে হবে। এই পদ্ধতিতে অনিয়ম আটকানো যাবে বলে আশাবাদীখাদ্য-কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন