Witness speech

জলের তোড় দেখে দিলাম ভয়ে দৌড়

শনিবার সকাল সাড়ে ৫টায় প্রতিদিনের মতো ৩১ নম্বর গেটের কাছে বালির চরে গিয়েছিলাম। গেট সবসময় বন্ধ থাকায় চরা পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

কমল ওঁরাও (গেট ভাঙার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী)

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০২
Share:

কমল ওঁরাও (গেট ভাঙার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী)


দুর্গাপুর ব্যারাজের পাশের পার্কে সংস্কার কাজ চলছে। সেখানেই অন্য কয়েকজনের সঙ্গে কাজ করি। আমার বাড়ি নবদ্বীপে। শনিবার সকাল সাড়ে ৫টায় প্রতিদিনের মতো ৩১ নম্বর গেটের কাছে বালির চরে গিয়েছিলাম। গেট সবসময় বন্ধ থাকায় চরা পড়ে গিয়েছে। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনি। দেখি, গেট থেকে হু-হু করে জলের স্রোত ধেয়ে আসছে। বিপদ বুঝে পাড়ের দিকে দৌড় দিই। কতক্ষণ দৌড়েছি খেয়াল নেই। কোনও রকমে যখন পাড়ে পৌঁছলাম, পা টনটন করছিল।

Advertisement

গেট থেকে কিছুটা নীচে বালির চরে বাঁশ পুঁতে রেখেছিলেন জেলেরা। মাছ ধরার পরে বাঁশে জাল টাঙিয়ে শুকিয়ে নেন তাঁরা। জামা-কাপড়ও মেলেন। জলের তোড়ে বাঁশ উপড়ে জালগুলি সব ভেসে চলে গেল চোখের সামনে। আরও কিছুটা দূরে জলের মধ্যে নৌকা বাঁধা ছিল। জলের বেগ এত বেশি যে, নৌকাগুলিও বাঁধন ছিঁড়ে ভেসে গেল।

প্রতিদিন সকালে বালির চরে যাই। ঘটনার পরে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু চোখ বুঝলেই যেন ভোরের ঘটনাটা ভেসে উঠছে বারবার। আর ওখানে কোনও দিন যাব না। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন