অভিমানে নদীতে ঝাঁপ। —প্রতীকী চিত্র।
দুই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল মায়ের। সেই অভিমানে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মা। ঘটনার পরে এক দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি জবা চৌধুরী (৩৭) নামে ওই মহিলার দেহ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনা।
পারিবারিক সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মায়ের সঙ্গে বচসা বেধেছিল দুই মেয়ের। এর পরে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিন জনেই বেরিয়ে পড়েছিলেন ঘর ছেড়ে। ঘণ্টাখানেক পরে দুই মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তবে তখনও মা ফেরেননি দেখে মেয়েরা তাঁকে ফোন করে। তখন জবা জানান, তিনি একটু পরেই বাড়িতে আসছেন। তবে আর আসেননি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় দুই মেয়ে। মহিলাকে খোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, ভোর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ স্থানীয় দেবরাজ ঘাটের সিঁড়ি দিয়ে ভাগীরথী নদীর দিকে যাচ্ছেন এক মহিলা। তবে ফিরে আসতে আর দেখা যায়নি তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে জবাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন জবা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জবার স্বামী শ্যামসুন্দর কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে আসতেন। জবা কাজ করতেন একটি পোশাকের দোকানে। মৃতার বড় মেয়ে সুমনা স্নাতক ও ছোট মেয়ে সানিয়া দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরতা। বাড়িতে থাকতেন মা ও মেয়েরা। বড় মেয়ে সুমনা বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল শেষ বারের মতো। বলেছিল, বাড়ি ফিরছে। তার পর থেকেই আর ফোনে পাওয়া যায়নি। ভেবেছিলাম রাগ কমলে ফিরে আসবে।’’