steel plant ডিএসপি

বেতনের নয়া প্রদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ

শুক্রবার ‘সেল’-এর কর্পোরেট অফিস থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে ‘পে রোল সিস্টেম’ তৈরি করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল প্ল্যান্টের কর্মীদের বেতন আর সংশ্লিষ্ট কারখানা থেকে চূড়ান্ত হবে না। ‘সেল’ (স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড)-এর কর্মীদের বেতন এখন থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। নতুন এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) বিভিন্নশ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

শুক্রবার ‘সেল’-এর কর্পোরেট অফিস থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে ‘পে রোল সিস্টেম’ তৈরি করা হবে। সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টকে (বিএসপি)। আগের মাসের ছুটি বা অফিসের কাজে বাইরে যেতে হলে তার বিল পরের মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বিএসপি-কে জানাতে হবে। এর অন্যথা হলে বেতন ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’-এর জন্য চার মাস সময় লাগবে।

এই নির্দেশিকার পরেই ডিএসপি-র শ্রমিকদের একাংশের দাবি, শ্রমিকের সংখ্যা তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গিয়েছে। অথচ, উৎপাদন বেড়েছে। তাই কাজের প্রয়োজনে কখনও কখনও টানা দু’তিন পালিতে (শিফ্‌ট) কাজ করতে হয়। পরে উপস্থিতি নিয়ে কোনও জটিলতা হলে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে ঠিক করে নেওয়া যেত। প্রয়োজনে সময় বার করে একাধিক বারও যাওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু নতুন বেতন পদ্ধতিতে এমন সমস্যা হলে কী ভাবে সমাধান করা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান কেউ কেউ। এমন সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের পাশাপাশি, আধিকারিকদেরও বিপাকে পড়তে হবে বলে জানান তাঁরা। ডিএসপি-র এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, বর্তমানে অনলাইন ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা হলে ভিলাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগে তেমন সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন।

Advertisement

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। নেতৃত্বের দাবি, এমন সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করাটা দরকার ছিল। ডিএসপি-র সিটু নেতা সৌরভ দত্তের অভিযোগ, ‘‘এটা ‘সেল’-এর একতরফা সিদ্ধান্ত। নির্দেশিকা জারি হলেও তা সরাসরি কাউকে পাঠানোও হয়নি। সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার আগে অনেক দিক ভাবা দরকার ছিল। এ ভাবে কেন্দ্রীয়করণের অর্থ বিভিন্ন ইউনিটে এই কাজের জন্য যুক্ত আধিকারিক ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা। কাজ হারানো এবং বদলির আশঙ্কা রয়েছে।’’ বিএমএস নেতা অরূপ রায়ও জানান, তাঁরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন এই নির্দেশিকা নিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন সবাই।’’

যদিও ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন, ‘‘সেল-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন