নজরুলের গানের কর্মশালা

বিশিষ্ট শিল্পী অনুপ ঘোষালের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুরে হয়ে গেল নজরুলগীতি কর্মশালা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল অ্যাকাডেমির উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৪০
Share:

দুর্গাপুরের সৃজনী হলে নৃত্যের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।

বিশিষ্ট শিল্পী অনুপ ঘোষালের তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুরে হয়ে গেল নজরুলগীতি কর্মশালা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল অ্যাকাডেমির উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নজরুল বিশেষজ্ঞদের মতে, নজরুলের গানের সুরে বিশিষ্ট ভাবে মিশেল ঘটেছে বাংলা ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন লোকআঙ্গিক। নজরুলের গানে ঝুমুর, বাউল, রামপ্রসাদী, ভাটিয়ালির মতো বাংলা লোকসঙ্গীতের পাশপাশি উত্তর ভারতের গজল, কাওয়ালি, হোরি, লাওনী, বিহারী প্রভৃতি লোকসুরও খুঁজে পাওয়া যায়। উপযুক্ত তালিম ছাড়া তাই নজরুলের গানের আত্মীকরণ সম্ভব নয় বলেই মনে করা হয়।

খানিকটা সেই তালিমের জন্যই বিশিষ্ট নজরুল গীতিশিল্পী অনুপ ঘোষালকে কর্মশালায় আনা হয়েছে বলে মত উদ্যোক্তাদের। ৩ দিনের কর্মশালাটির আসর বসেছিল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি হোটেলে।

Advertisement

অনুপ ঘোষালের তত্ত্বাবধানে চলছে তালিম। —নিজস্ব চিত্র।

মোট ৩৩ জন শিল্পী কর্মশালাতে যোগ দেন বলে দুর্গাপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। কর্মশালার সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি হয় দুর্গাপুর পুরসভার তথ্যকেন্দ্রে। কর্মশালায় যোগ দেওয়া শিল্পীদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়ার কথা জানান মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক শান্তনু চক্রবর্তী।

অনুপবাবুর মতো শিল্পীর মতো শিল্পীকে কাছে পেয়ে খুশি কর্মশালায় যোগ দেওয়া সকলেই।

বাৎসরিক উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা • হিরাপুর

ভগৎ সিংহের কমপিটিটিভ লাইব্রেরির বাৎসরিক উৎসব আয়োজিত হল সম্প্রতি। বার্নপুর স্টেশন রোডে এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর প্রীতি মজুমদার, যুব তৃণমূল নেতা উৎপল সেন, হিরাপুর থানার ওসি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। শহিদ ভগৎ সিংহের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন হয়। গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পর্বতারোহী মিলন সেনগুপ্ত, সৌমিত্র গঙ্গোপাধ্যায়, দুই কবি পার্থপ্রতিম আচার্য, পওন বাঁকেবিহারী, চিকিৎসক তথা কবি অরুণাভ সেনগুপ্ত, রক্তদান আন্দোলনের নেতা প্রবীর ধরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। লাইব্রেরির ন’জন কৃতীকে সম্মান জানানো হয়।

আয়োজক সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রশেখর চৌধুরী জানান, ২০০৫ সালে তাঁরা এই লাইব্রেরি চালু করেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পরে লাইব্রেরির সদস্য হওয়া যায়। যাঁরা সদস্য হন তাঁরা একজোট হয়ে পড়াশোনা করেন। সিনিয়রেরা সাহায্য করেন। লাইব্রেরিতে বিনা খরচে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পত্রিকা-বইপত্র পাওয়া যায়। লাইব্রেরি চালু হওয়ার তিন বছর পর থেকে প্রতি বছর এখানকার পড়ুয়ারা চাকরি পেতে শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত পঞ্চাশ জন চাকরি পেয়েছেন। শেষ অর্থবর্ষে চাকরি পেয়েছেন ন’জন। তাদের মধ্যে তিন জন রেলে, দু’জন আধা সামরিক ও দু’জন সামরিক বাহিনীতে, দু’জন সেল আইএসপিতে চাকরি পেয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানে তাঁরা সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রেলকর্মী বিবেক সোনি, সেনা বাহিনীর কর্মী কিশোর কুমারেরা বলেন, “এই প্রতিযোগিতামূলক লাইব্রেরি আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। গরিব পড়ুয়াদের জন্য এটি একটি আশ্রয়স্থল।”

নাচের অনুষ্ঠান

নিজস্ব সং‌বাদদাতা • দুর্গাপুর

নৃত্যাবৃত্তি বাতায়নের তরফে ‘দুর্গাপুর ড্যান্স অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজিত হল দুর্গাপুরের সৃজনী হলে। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আয়োজকদের পক্ষে ইতুশ্রী মহান্ত জানান, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি রবীন্দ্রনৃত্য পরিবেশন করা হয় এই অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন নৃত্যের শিক্ষাগুরুদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন