উখড়ায় ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আট

ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমানের উখড়ায় আট জন গ্রেফতার হল। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বিল্টু সাউ ছাড়া বাকিরা সবাই নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাড়িতে যান প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উখড়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪০
Share:

ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমানের উখড়ায় আট জন গ্রেফতার হল। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বিল্টু সাউ ছাড়া বাকিরা সবাই নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাড়িতে যান প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

বুধবার দুপুরে উখড়ায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় মেয়েটিকে কটূক্তি করত বিল্টু। নিষেধ শোনেনি। সে দিন সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে সে ছাত্রীটির বাবাকে মারধর শুরু করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, তখনই তাঁর মেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মঘাতী হয়।

সেই রাতেই দুই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বিল্টু-সহ আরও ছ’জনকে ধরা হয়। তবে বিল্টুর পরিবারের লোকেরা পালিয়ে যান। বর্ধমানের জুভেনাইল আদালত ধৃত সাত নাবালককে ১৩ দিন উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের একটি হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। বিল্টুকে আজ, শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হবে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত এখনও অধরা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বিল্টু দাবি করেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল। মেয়েটির পরিবারের তাতে আপত্তি ছিল। দুর্গাপুজোর সময়ে বিল্টুর সঙ্গে কথা বলতে দেখে মেয়েটিকে তার বাবা বকাবকি করেন। সম্প্রতি ছাত্রীর এক দাদাও তাকে ফোন করে হুমকি দেয়। বুধবার ভুল বোঝাবুঝি মেটাতে বিল্টু ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়েছিল। তার ডাকে মেয়েটি বেরিয়ে আসে। তারা কথা বলার সময়ে ছাত্রীর বাবা সেখানে এসে পড়েন। তাঁর সঙ্গে বিল্টুর প্রথমে বচসা, পরে মারামারি বাধে। তখনই মেয়েটি ছুটে ঘরের দরজা বন্ধ করে।

মৃত ছাত্রীর বাড়ির লোকজন অবশ্য মেয়ের সঙ্গে বিল্টুর কোনও সম্পর্কের কথা মানতে চাননি। প্রশাসনের কর্তাদের কাছে এ দিন তাঁরা অভিযোগ করেন, এলাকার রাস্তাঘাটে প্রায় সর্বক্ষণই জটলা করা কিছু তরুণ ও যুবক রাস্তা দিয়ে যাওয়া মেয়ে-মহিলাদের কটূক্তি করে। এলাকার মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অন্ডালের বিডিও মানস পাণ্ডে বলেন, “প্রশাসনের তরফে এলাকায় সচেতনতা-শিবির করা হবে। এমন অভিযোগে কী শাস্তি হতে পারে সেটা বোঝানোর পাশাপাশি, কটূক্তির শিকার হলে কী ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে সে পরামর্শও দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন