এমন যেন আর না হয়, শুনে চুপ ফোনের ও পার

ভাই যা বলেছেন তার নিন্দার ভাষা নেই। ফোনে সে কথা তাঁকে বলেওছেন। বকাবকি করার সময়ে ফোনের উল্টো দিকে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁর ভাই তাপস পাল, জানালেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা চন্দনা দাশগুপ্ত। তাপসের বড় দিদি চন্দনা দাশগুপ্তের শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরে। তাঁর স্বামী মোহিতকুমার দাশগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। বুধবার চন্দনাদেবী বলেন, “তাপস যা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবে শুধু এই ঘটনা দিয়ে সমগ্র মানুষটিকে যেন বিচার করা না হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০১:২৮
Share:

বাড়িতে চন্দনাদেবী। —নিজস্ব চিত্র।

ভাই যা বলেছেন তার নিন্দার ভাষা নেই। ফোনে সে কথা তাঁকে বলেওছেন। বকাবকি করার সময়ে ফোনের উল্টো দিকে নিশ্চুপ ছিলেন তাঁর ভাই তাপস পাল, জানালেন দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা চন্দনা দাশগুপ্ত।

Advertisement

তাপসের বড় দিদি চন্দনা দাশগুপ্তের শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরে। তাঁর স্বামী মোহিতকুমার দাশগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। বুধবার চন্দনাদেবী বলেন, “তাপস যা করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবে শুধু এই ঘটনা দিয়ে সমগ্র মানুষটিকে যেন বিচার করা না হয়। ও আমার ছেলের মতো। ও মানুষের ক্ষতি করতে পারে না।” মোহিতবাবু বলেন, “আমি ভীষণ ভাবে ব্যথিত। অত্যন্ত নিন্দা করছি। আমি নিশ্চিত, এটা একেবারেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। তবে তার মানে এই নয় যে আমি ওর মন্তব্যকে সমর্থন করছি।” তাঁর দাবি, “ওকে জানি। ও ধমক দেয়, চেঁচামেচি করে, কিন্তু বাজে কথা বলার ছেলে ও নয়। ও সমাজের ভাল করতে চায়। তাই আশা করছি, এটা শোধরানো যাবে।”

মোহিতবাবু জানান, ছোটবেলায় দীর্ঘ দিন তাপসকে পড়িয়েছেন তিনি। বিধাননগরে সেক্টর ২-এ এলাকার একটি সমবায় আবাসনের বাসিন্দা চন্দনাদেবী ও মোহিতবাবু কিছুতেই মেলাতে পারছেন না সেই তাপসের সঙ্গে এই তাপসকে। চন্দনাদেবীর কথায়, “সবচেয়ে অবাক লাগছে, ও যা করেছে তা একেবারে ওর চরিত্রের বিপরীত। আমি মেলাতে পারছি না।” তাঁর দাবি, তাপস নিয়মিত নিজের লোকসভা এলাকা কৃষ্ণনগরে যান। সেখানকার মানুষের পাশে থাকেন। তবে কি রাজনীতি করতে গিয়েই বদলে গিয়েছেন অভিনেতা তাপস পাল? চন্দনাদেবী অবশ্য মানেননি সে কথা। তিনি বলেন, “রাজনীতি অনেক বড় কাজ। সে কথা আমি আগে ওকে বলেছি। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে। রেগে গেলে হবে না। কোন পরিস্থিতিতে কেন ও এমন করল আমার বোধগম্য নয়। ওর এমন ঔদ্ধত্য আগে দেখিনি।”

Advertisement

মোহিতবাবু জানান, মঙ্গলবার তাপসের স্ত্রী নন্দিনী ফোন করেছিলেন। তাঁকে তিনি বলে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন আর না হয়। তাপস যেন সেটা মনে রাখেন। চন্দনাদেবী বলেন, “তাপস মহিলাদের সম্মান করে। ও এই সমস্ত শব্দ সমাজের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করেছে বলে মনে করি না। এমন আর ও কোনও দিন করবে না।” কী ভাবে নিশ্চিত হলেন? চন্দনাদেবী বলেন, “ওকে ফোন করে বলেছি, এ বারের মতো ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন হলে আমরা সহ্য করতে পারব না। ও চুপ করে ছিল। আমি জানি, ও কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement