দুর্গাপুরের রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র।
গরমে জ্বলছে শিল্পাঞ্চল। রোদ উঠতেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও নেই স্বস্তি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের অস্বাভাবিক উপস্থিতির কারণে বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস দশা।
আসানসোল ও দুর্গাপুর, দুই শহরেই গরমের একই ছবি। খুুব দরকার ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে চাইছেন না। পথচারীদের বেশির ভাগেরই চোখে থাকছে রোদ চশমা, মুখে কাপড়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। বেলা বাড়তেই দোকান-বাজারে ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে অনেকের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও ওআরএস মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। পুরসভা কয়েকটি জায়গায় ট্যাঙ্কে করে জল সরবরাহ করছে। সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হলেও এখনও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল খোলা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, খুদে পড়ুয়াদের কথা ভেবে সেই বেসরকারি স্কুলগুলিকে দ্রুত বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হবে।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত ওষুধ ও ওআরএস মজুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি দুর্গাপুরের বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলেও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও যে কটি স্কুলে ক্লাস চলছে সেগুলিও আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মহকুমা শাসক বলেন, “তারপরেও যদি কোনও স্কুল খোলা থাকে তাহলে সেগুলি বন্ধ করার পরামর্শ দেব।” মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁদের স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। জলবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ ও ওআরএস মজুত রাখা হয়েছে। আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকাকে পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের অভাব মেটাতেও যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”