ক্যারাটে-জুডো এ বার জেলার ৬০টি স্কুলে

এ বার আরও বেশি মেয়ে ক্যারাটে শিখবে। গত বছর বর্ধমানের কুড়িটি স্কুলে ক্যারাটে ও জুডো প্রশিক্ষণ হয়। এ বছর ছ’টি মহকুমার প্রতিটিতে দশটি করে স্কুলে তিন মাস ধরে প্রশিক্ষণ হবে। রাজ্য জুড়েই এই প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা হয়েছে, বলছেন প্রশাসনের কর্তারা। রাস্তাঘাটে হয়রানি, আক্রমণ এলে যাতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে ছাত্রীরা, সেই উদ্দেশ্যে ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন’-এর আওতায় ক্যারাটে ও জুডো শেখানোর ব্যবস্থা হয়।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০২:১৫
Share:

স্কুলছাত্রীদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ। —ফাইল চিত্র।

এ বার আরও বেশি মেয়ে ক্যারাটে শিখবে।
গত বছর বর্ধমানের কুড়িটি স্কুলে ক্যারাটে ও জুডো প্রশিক্ষণ হয়। এ বছর ছ’টি মহকুমার প্রতিটিতে দশটি করে স্কুলে তিন মাস ধরে প্রশিক্ষণ হবে। রাজ্য জুড়েই এই প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা হয়েছে, বলছেন প্রশাসনের কর্তারা।
রাস্তাঘাটে হয়রানি, আক্রমণ এলে যাতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে ছাত্রীরা, সেই উদ্দেশ্যে ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন’-এর আওতায় ক্যারাটে ও জুডো শেখানোর ব্যবস্থা হয়। মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্ধমানের কুড়িটি স্কুলে তিন মাস প্রশিক্ষণের শেষে একটি প্রতিযোগিতাও হয় বর্ধমানের সংস্কৃতি ভবনে। ছাত্রীদের উৎসাহ দেখে জেলা থেকে যে রিপোর্ট যায়, তা রাজ্যের শিক্ষা দফতর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠায়। এ বছর মোট ৬০টি স্কুলে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা ‘ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার’ আধিকারিক গৌরাঙ্গ বিশ্বাস জানান, আপাতত ক্যারাটে-জুডোর ক্লাস হবে সপ্তাহে দু’দিন করে। তিন মাসে মোট ২২টি ক্লাস নেওয়া হবে। কিন্তু মাত্র তিন মাসের প্রশিক্ষণ কি যথেষ্ট? গৌরাঙ্গবাবুর বক্তব্য, ‘‘ক্যারাটে-জুডোর প্রাথমিক বিষয়গুলি তার মধ্যেই রপ্ত হয়ে যাবে। এর পরে যাতে নিয়মিত অনুশীলন জারি থাকে, সে জন্য প্রতিযোগিতা, শ্যাডো শো-এর ব্যবস্থা থাকছে।’’ তিনি জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রীরাই পরে নিচু ক্লাসের মেয়েদের শেখাবে। এর মধ্যে দিয়েও নিয়মিত চর্চা হবে।
সর্বশিক্ষা মিশনের এই জেলার প্রকল্প আধিকারিক ভাস্কর পাল জানান, ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন’ থেকে ইতিমধ্যে অনুদান এসে গিয়েছে। প্রশিক্ষক নিয়োগের কাজ চলছে। মহকুমা থেকে স্কুল বাছাই করে নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরে। সেখান থেকে অনুমোদন এসে গেলেই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু করা হবে। স্কুলের সময়ের মধ্যেই সুবিধা মতো এই ক্লাস হবে।

Advertisement

দুর্গাপুর মহকুমা থেকে যে ১০টি স্কুল বাছা হয়েছে, তার অন্যতম অন্ডাল গার্লস হাইস্কুল। সেখানকার প্রধান শিক্ষিকা তপতী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ছাত্রীরা মুখিয়ে আছে।’’ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজেদের উদ্যোগে স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ চালু করেছেন দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে ক্যারাটের ক্লাস বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। আশা করি, অন্য স্কুলেও ছাত্রীরা এই সুযোগ কাজে লাগাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন