কলেজ নেই, স্কুল পেরিয়ে মুশকিলে কাঁকসার পড়ুয়ারা

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট কলেজ, এমনকী, আইন কলেজও রয়েছে এলাকায়। কিন্তু কোনও সরকারি ডিগ্রি কলেজ নেই গোটা ব্লকে। ফলে, ব্লকে সাতটি পঞ্চায়েত এলাকার একশোরও বেশি গ্রামের পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে যেতে হয় দুর্গাপুর, মানকর, গলসি, বোলপুর বা বর্ধমানে। যোগাযোগের অসুবিধা ও আর্থিক কারণে অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ কাঁকসার বাসিন্দাদের।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৪ ০০:৪১
Share:

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট কলেজ, এমনকী, আইন কলেজও রয়েছে এলাকায়। কিন্তু কোনও সরকারি ডিগ্রি কলেজ নেই গোটা ব্লকে। ফলে, ব্লকে সাতটি পঞ্চায়েত এলাকার একশোরও বেশি গ্রামের পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে যেতে হয় দুর্গাপুর, মানকর, গলসি, বোলপুর বা বর্ধমানে। যোগাযোগের অসুবিধা ও আর্থিক কারণে অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ কাঁকসার বাসিন্দাদের।

Advertisement

কাঁকসা ব্লকে প্রাথমিক স্কুল রয়েছে একশোরও বেশি। মাধ্যমিক স্কুল ১৬টি। তার মধ্যে ৮টি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের পঠনপাঠন হয়। নেই শুধু স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার জন্য কোনও সরকারি কলেজ। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে অনেক পড়ুয়াই বিপাকে পড়ে। বাসিন্দারা জানান, যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা ছেলেমেয়েকে অন্যত্র রেখে পড়াশোনা করাতে পারেন। কিন্তু অস্বচ্ছল পরিবারের পড়ুয়াদের পক্ষে সেই সুযোগ পাওয়া মুশকিল হয়।

এলাকাবাসীর দাবি, বছর তিনেক আগে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের নানা জায়গায় নতুন নতুন কলেজ গড়ে উঠেছে। হয়েছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও। কিন্তু এই ব্লকে কলেজ গড়ার কোনও উদ্যোগ সরকারের তরফে হয়নি। অথচ, কাঁকসায় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, কাঁকসায় একটি ডিগ্রি কলেজ গড়া হলে শুধু এই এলাকার পড়ুয়ারা নয়, লাগোয়া বীরভূমের ইলামবাজার বা বাঁকুড়ার সোনামুখীর বেশ কিছু এলাকার পড়ুয়ারাও উপকৃত হবে।

Advertisement

এলাকায় একটি কলেজের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন কাঁকসার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষও। ব্লকের দক্ষিণ দিকে প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে সিলামপুর হাইস্কুল। সেটির প্রধান শিক্ষক সুকুমার পাল বলেন, “আমাদের স্কুলে গরিব পরিবারের বহু ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে পরবর্তী ধাপের পড়াশোনা নিয়ে তাদের অনেকেই খুব সমস্যায় পড়ে। একটি কলেজ হলে সে সমস্যা মেটে।” তিনি জানান, কলেজ চালুর উদ্যোগ হলে সব রকম সহযোগিতা করতেও তাঁরা প্রস্তুত বলে জানান সুকুমারবাবু। তিনি জানান, সম্প্রতি সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় তাঁদের স্কুলে ১০টি নতুন শ্রেণিকক্ষ গড়া হয়েছে। কাঁকসা ব্লকে কলেজ চালু হলে তাঁরা স্কুলবাড়ি ছাড়তে সম্মত। তিনি বলেন, “সেক্ষেত্রে সকালে কলেজ, দুপুরে স্কুলএই ধরনের কোনও ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।” তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষা দফতরে ফ্যাক্স মারফত এলাকায় একটি কলেজ তৈরির আর্জি জানানো হয়েছে।

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই এলাকায় কলেজের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি জানেন। আগে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠিপত্রও পাঠিয়েছেন। বিধায়কের আশ্বাস, “ওই এলাকার পড়ুয়াদের স্বার্থে সিলামপুরে একটি কলেজ গড়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement