কাজ শুরু আমোদপুরে। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি।
সাত মাস কাজ বন্ধ থাকার পরে গেজ বদলের কাজ শুরু হতে চলেছে কাটোয়া থেকে আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বাজেটে ওই রেলপথের জন্য ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রথম পর্যায়ে আমোদপুর থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্রের আশ্বাস, “শীঘ্র ওই রেলপথে ফের কাজ শুরু হবে।”
২০১২ সালের ডিসেম্বরে ৫২ কিলোমিটারের কাটোয়া-আমোদপুর রেলপথকে ছ’ভাগে ভাগ করে টেন্ডার ডাকে রেল দফতর। আমোদপুর থেকে লাউঘাটা ব্রিজ (এ ও বি সেকশন) পর্যন্ত ৬৫ কোটি টাকা, লাভপুর থেকে কীর্ণাহার (সি সেকশন) ২০ কোটি, কীর্ণাহার থেকে কান্দরা (ডি সেকশন) ২০.৫৭ কোটি, কান্দরা থেকে পাঁচুন্দি (ই সেকশন), ও পাঁচুন্দি থেকে নবগ্রাম হল্ট (এফ সেকশন) পর্যন্ত ২৪.৭৩ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় মানুষজনের চাহিদা মিলিয়ে ওই লাইনের প্রাথমিক খরচ ধরা হয় আনুমানিক ১৬০ কোটি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছরের মধ্যে ওই লাইনে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। ১৮ মাসের মধ্যে প্রাথমিক কাজ শেষ করার কথা প্রকল্প বাস্তুকারদের জানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এ বারের বাজেটে টাকার সংস্থান হতেই অবশ্য নতুন করে দরপত্র ডাকতে শুরু করেছে রেল।
রেল সূত্রে জানা যায়, লাইনের বেশিরভাগ অংশে মাটির প্রথম স্তরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমোদপুর থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তরে মাটির কাজ শেষ করে লাইন পাতার উপযোগী করে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু কালভার্টের কাজ হয়েছে। লাউঘাটা ব্রিজ সম্প্রসারণেরও কাজও চলছে। তবে বর্ধমানের কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামের বাসিন্দা আশিস রায়ের দাবি, “নিরোল গ্রামের কাছে ও ফুটিসাঁকো থেকে কীর্ণাহার পর্যন্ত ওই রেলপথে কোনও কাজ হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, যে গতিতে কাজ হচ্ছে, তাতে রেলের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে কাজ শেষ করা অসম্ভব।