ছাত্রীকে গণধর্ষণের নালিশ, ধৃত

নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল কোকওভেন থানার পুলিশ। সোমবার রাতে রাতুড়িয়ার পলাশতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাজীব প্রধান, পিন্টু মল্লিক ও প্রদীপ সরকার। বুধবার বর্ধমানের স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে তাদের ছ’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৪
Share:

বর্ধমান আদালতে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র।

নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল কোকওভেন থানার পুলিশ।

Advertisement

সোমবার রাতে রাতুড়িয়ার পলাশতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাজীব প্রধান, পিন্টু মল্লিক ও প্রদীপ সরকার। বুধবার বর্ধমানের স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে তাদের ছ’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে পলাশতলায় সরস্বতী পুজো উপলক্ষে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। ছাত্রীর বাড়ি কাছেই তেঁতুলতলায়। কয়েক জন বান্ধবীর সঙ্গে সে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল। ছাত্রীটি তার বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন বন্ধুরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিল। এক সময়ে তাকে একা এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাজীব এসে বলে, এক বান্ধবী ডাকছে। তার কথায় বিশ্বাস করে সে সঙ্গে যায়। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল পিন্টু ও প্রদীপ। ছাত্রীর কথায়, “ওরা আমায় কোল্ড ড্রিঙ্ক দেয়। আমি তা খেয়েও ফেলি।” এর পরেই সে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বলে ছাত্রীটির অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে সে বাড়ি ফেরে।

Advertisement

রাতে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকেরা ভেবেছিলেন, পলাশতলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে আছে। বাড়ি ফিরে মেয়েটিও প্রথমে কিছু বলেনি। কিন্তু খানিক বাদে সেই আত্মীয়ই তাদের বাড়িতে আসেন। তখনই বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, মেয়ে রাতে তাঁর বাড়িতে ছিল না। এতে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। বেশ কিছু ক্ষণ পরে মেয়েটি ধর্ষণের কথা জানায়। তার অভিযোগ, মাঝরাতে এক বার ঘোর কাটলে চোখ খুলে সে দেখে, রাজীব, পিন্টু ও প্রদীপ বসে আছে। তার পরে ফের সে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। সকালে জ্ঞান ফিরলে সে বোঝে, সেটি একটি পরিত্যক্ত টালির বাড়ি। গোটা ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করা আছে এবং কাউকে কিছু জানালে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ছেলেগুলি তাকে হুমকি দেয়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা সারা দিনই রাস্তার পাশে আড্ডা মারে। স্কুলের রাস্তায় মেয়েদের কটূক্তিও করে। একাধিক বার তাদের সতর্কও করেছেন এলাকার মানুষ। ঘটনার দিন ছাত্রীর মা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কলকাতায় থাকেন। বুধবার বাড়ি ফিরে তিনি মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যান। তাঁর বক্তব্য, “আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা যেন অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে। অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি লড়ে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন