ট্রেনের জানালার কাঁচ ভাঙা।—নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় সমাবেশ থেকে ফেরার পথে ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের হাতে কয়েকজন টিএমসিপি সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুগলির কুন্তিঘাট স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
টিএমসিপির অভিযোগ, বিকেল পাঁচটা নাগাদ কালনা ও পূর্বস্থলীর ছাত্রছাত্রীরা ফেরার জন্য হাওড়া থেকে কাটোয়াগামী লোকাল ধরে। বাঁশবেড়িয়া পেরোতেই ট্রেনে সংগঠনের নামে স্লোগান দেওয়া শুরু করে তারা। তখন ওই ট্রেনেরই কয়েকজন নিত্যযাত্রী তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তা থেকেই তর্কাতর্কি শুরু হয়। টিএমসিপির পূর্বস্থলী কলেজের নেতা বিশ্বজিৎ মিত্রের অভিযোগ, কয়েকজন নিত্যযাত্রী তাদের দলের মহিলাদের প্রতি অশালীন আচরণ করেন। প্রতিবাদ করাতে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। কুন্তিঘাট স্টেশনে ঢোকার পরে ওই নিত্যযাত্রীরা আরও কয়েকজনকে ডেকে ট্রেন আটকে রাখেন। পরে কামরায় উঠে ওই টিএমসিপির ছাত্রছাত্রীদের তারা মারধর করে বলেও অভিযোগ। পাথর ছুঁড়ে কামরার জানালার কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। জনা দশেক টিএমসিপি সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও তাঁদের দাবি। এরপরে ওই ট্রেনটি অম্বিকা কালনা স্টেশনে পৌঁছলে টিএমসিপির ছাত্রছাত্রীরা অবরোধ শুরু করে। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামলাতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, পুলিশ ও জিআরপি ঘটনাস্থলে যায়। আহত সাত ছাত্রকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের মাথায়, হাতে চোট রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। আহত চাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তপনবাবুর অবশ্য দাবি, সিপিএম ও বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে ওই হামলা চালিয়েছে।
কয়েকজন নিত্যযাত্রীদের আবার দাবি, ট্রেনে বসার জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীরা এক নিত্যযাত্রী মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এর পর নিত্যযাত্রীদের মারে গুরুতর আহত হন পূর্বস্থলীর মণিকা মিস্ত্রি নামে এক ছাত্রী। তাঁকে চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোলমালের জেরে বেশ কিছু হাওড়া-কাটোয়া লাইনের লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। রাতে অবশ্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।