ডিপিএলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধৃত ছয়

ডিপিএল কলোনিতে লিফলেট বিলিকে কেন্দ্র করে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনায় গ্রেফতার ছ’জনকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল দুর্গাপুর আদালত। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছিল। রবিবার রাতে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৩
Share:

ডিপিএল কলোনিতে লিফলেট বিলিকে কেন্দ্র করে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনায় গ্রেফতার ছ’জনকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল দুর্গাপুর আদালত। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছিল। রবিবার রাতে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আর্থিক সঙ্কটে পঙ্গু হতে বসা ডিপিএল-কে বাঁচাতে রাজ্যের অন্য সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে ডিপিএলের আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। কবে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু তার আগেই কর্মীরা কে কোথায় বদলি হতে ইচ্ছুক, তা জানতে ডিপিএল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ডিপিএলের পাশে দাঁড়িয়েছে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘ডিপিএল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মজুমদারের মতে, “এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তা না হলে ডিপিএলের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।” এই বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন ওই সংগঠনেরই নেতা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ডিপিএলকে বাঁচাতে অব্যবহৃত জায়গায় আবাসন, আইটি, শপিংমল গড়ার মতো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। নতুন প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত ইউনিট গড়ার কথাও বলেছিলেন মন্ত্রী। সেখানে এ ভাবে হঠাৎ ডিপিএল-কে অন্য সংস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জয়ন্তবাবুর দাবি, “নতুন ব্যবস্থায় ডিপিএলের কর্মীদের স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা পরিষ্কার নয়। আগে তা জানাতে হবে।”

রবিবার জয়ন্তবাবু এ বিষয়ে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি একটি লিফলেট বিলি করতে বেরোন। দেবদাসবাবুর বাড়িতে গেলে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। এমন লিফলেট বিলির প্রতিবাদও জানান। দেবদাসবাবু অভিযোগ করেন, তখন তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। অভিযোগ, এর কিছু ক্ষণ পরেই জয়ন্তবাবুর বাড়িতে হামলা হয়। তাঁর কিছু অনুগামী প্রতিবাদ করতে এলে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জয়ন্তবাবু অভিযোগ করেন, দেবদাসবাবুর অনুগামীরাই এই ঘটনার পিছনে আছে। রাতে দু’পক্ষের তিন জন করে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে জয়ন্তবাবুও রয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন