দুই ভাইয়ের দেহ মিলল অসমে

পেঁয়াজ ভর্তি লরি নিয়ে অসমে পৌঁছনোর পরে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভাই। পরে অসম থেকেই দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই ভাইয়ের নাম মারফৎ শা (৩৪) ও বাইসুদ্দিন শা (২৬)। মন্তেশ্বর ব্লকের ভাগরা খেলার মাঠ এলাকায় তাঁদের বাড়ি। এর আগেও তারা অসমে গিয়েছেন। মারফৎ লরি চালাতেন আর বাইসুদ্দিন ছিলেন খালাসি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই ভাই মেমারির ব্যবসায়ী পার্থ দাসের লরিতে কাজ করতেন। ১৪ মে নদিয়ার মাজদিয়া থেকে পেঁয়াজ ভর্তি লরি নিয়ে অসমের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর ও গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০১:১৫
Share:

পেঁয়াজ ভর্তি লরি নিয়ে অসমে পৌঁছনোর পরে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভাই। পরে অসম থেকেই দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই ভাইয়ের নাম মারফৎ শা (৩৪) ও বাইসুদ্দিন শা (২৬)। মন্তেশ্বর ব্লকের ভাগরা খেলার মাঠ এলাকায় তাঁদের বাড়ি। এর আগেও তারা অসমে গিয়েছেন। মারফৎ লরি চালাতেন আর বাইসুদ্দিন ছিলেন খালাসি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই ভাই মেমারির ব্যবসায়ী পার্থ দাসের লরিতে কাজ করতেন। ১৪ মে নদিয়ার মাজদিয়া থেকে পেঁয়াজ ভর্তি লরি নিয়ে অসমের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। ২০ মে বাড়িতে ফোন করে জানান, পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। বাধ্য হয়ে আত্মীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী, ২৯ মে নিহতদের আরেক ভাই সিরাজউদ্দিন শা অসম রওনা হন। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পারেন, কামরুপ জেলার ক্ষেত্রি থানার পুলিশ ২২ মে সকালে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। দাবিদার না থাকায় পুলিশ দেহ দু’টি কবর দিয়ে দেয়। পরে রবিবার সিরাজউদ্দিন পুলিশের কাছে তাঁর দুই ভাইয়ের ছবি দেখান। ছবি দেখে পুলিশ জানায়, এই দু’জনকেই কবর দেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ দু’টি কবর থেকে তুলে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

অসম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ মে ওই দুই ব্যক্তি নিখোঁজ হন। ২২ মে ক্ষেত্রির পেপেলিয়া এলাকা থেকে তাঁদের দেহ মেলে। ১ জুন দেহদু’টি শনাক্ত করা হয়েছে। অসম পুলিশের অনুমান, বাংলা থেকে অসমে আসা একাধিক লরি লুঠ ও চালকদের উপর হামলার অভিযোগ আগেও মিলেছে। ট্রাক অপহরণের সঙ্গে জড়িত এক দুষ্কৃতী দলই এমনটা ঘটিয়েছে বলে তাদের অনুমান।

এ দিন নিহতদের বাড়িতে যান মন্তেশ্বরের বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ হেদায়তুল্লা ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অশেষ কোনার। ঘটনা শুনে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “ওই পরিবার যাতে যথাযথ সাহায্য পান তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।” মন্তেশ্বর থানা পরিবারটিকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন