দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র (এনআইটি) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়াকে হস্টেলেরই একটি অচল লিফটের ছাদ থেকে জখম ও অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেল। পরিবারের অভিযোগ, উপর থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ফলেই আহত হয়েছেন অর্কদেব পাল নামে ওই পড়ুয়া। এনআইটি-র তরফেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বছরখানেক আগে হস্টেলটি চালু হলেও লিফটটি চালু হয়নি। ছ’তলা হস্টেলের চার তলায় অর্কদেব থাকেন। এ দিন দেখা যায়, অর্কদেবের চোখে ক্ষত রয়েছে। পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যাওয়ায় তিনি সাড়া দিতে পারেননি বলে অনুমান। দু’দিন ধরে কোনও জল ও খাবারও না পাওয়ার কারণেও তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পড়ুয়াদের একাংশের।
এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা এনআইটি-র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া অর্কদেব পাল মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১১ নম্বর ব্লকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলে থাকতেন। বুধবার ওই পড়ুয়ার বাবা সুব্রত পাল ও দাদা রাজীব পাল দুর্গাপুরে এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ দিন এনআইটি-র এক নিরাপত্তারক্ষী ওই হস্টেলেরই অচল লিফটের ছাদে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন অর্কদেবকে। তাঁকে আপাতত বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ডিন (স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার) অনুপকুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই পড়ুয়া সুস্থ হলে তার সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে কথা বলে গোটা ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও এনআইটি সূত্রে খবর। এডিসিপি (পূর্ব) অমিতাভ মাইতি জানান, নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে আগেই তদন্ত শুরু হয়। তবে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার পিছনে ঠিক কী রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হবে।
অর্কদেবের দাদা রাজীব পালের অভিযোগ, ‘‘ভাই জানিয়েছে, ওকে কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর থেকে ওর আর কিছু মনে নেই। ভাই আগে সুস্থ হোক। তারপর কথা বলা যাবে।’’ তবে গোটা ঘটনার সঙ্গে র্যাগিং-এর কোনও যোগ রয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নন এনআইটি কর্তৃপক্ষ।