দূরশিক্ষায় ই-লার্নিং পদ্ধতি চালু করল বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ফি জমা দেওয়া থেকে স্টাডি মেটেরিয়াল সংগ্রহ করা-- এ বার থেকে ঘরে বসেই সবটা করতে পারবেন দূরশিক্ষার পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে স্মার্টফোনে অনলাইনে কথাও বলতে পারবেন শিক্ষকদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার দূরশিক্ষায় এই ই-লার্নিং পদ্ধতি চালু করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:২০
Share:

বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা ভবনে চলছে অনুষ্ঠান।—নিজস্ব চিত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ফি জমা দেওয়া থেকে স্টাডি মেটেরিয়াল সংগ্রহ করা-- এ বার থেকে ঘরে বসেই সবটা করতে পারবেন দূরশিক্ষার পড়ুয়ারা। প্রয়োজনে স্মার্টফোনে অনলাইনে কথাও বলতে পারবেন শিক্ষকদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার দূরশিক্ষায় এই ই-লার্নিং পদ্ধতি চালু করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

দূরশিক্ষা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, আপাতত ১০টি বিষয়ে অনলাইনে পড়ানো হবে। ছাত্রেরা অনলাইনে মোবাইল ফোনেই পাঠ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। বিশেষত, যাঁরা দূরে থাকেন এবং নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়ার জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারেন না, এ বার ঘরে বসেই সবটা পেয়ে যাবেন তাঁরা। নতুন পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবাদ ২০০ টাকা জমা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। এই পদ্ধতি চালু করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “অনেক কিছুর মতো এই পদ্ধতি আমরাই রাজ্যে প্রথম চালু করলাম। যুগের চাহিদা অনুসারে এই পদ্ধতি চালু না করে উপায়ও ছিল না। দূরশিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভর্তির যাবতীয় পদ্ধতি, ফি জমা দেওয়া, অনুমোদন এবং পড়ানো সমস্ত কিছুই চলবে অনলাইনের মাধ্যমে। ফলে বিদেশে থাকা মানুষেরাও এই পদ্ধতির সুবিধা নিতে পারবেন।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর দেবকুমার পাঁজাও বলেন, “এত দিন দূরশিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হত। এখন শুধু পরীক্ষা দেওয়ার সময় অর্থাত্‌ বছরে একবার আসতে হবে। তাও এ বছরের জন্যই। পরের বার থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” তবে এর পাশাপাশি আগের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভর্তি, ক্লাস করা, পরীক্ষা দেওয়ার পুরনো পদ্ধতিও চালু থাকছে বলে জানান তিনি। গত ২০১৩-১৪ সালে দূরশিক্ষার মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেছেন। এ বার ই-লার্নিং চালু হওয়ায় ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই ই-লার্নিং ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত স্তরের পাঠ্যক্রমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”

এই পাঠ্যক্রমের ফলে যাঁদের নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স শেষ করার তাগিদ রয়েছে অথচ সময়ের অভাবে হচ্ছে না, তাঁরা বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে না হওয়ায় তাঁদের সময় বেঁচে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা ভবনে একটি স্টুডিও তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে উচ্চমানের পাঠ দান সংক্রান্ত ভিডিও তৈরি করে তা ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন