ডিএসপি-র দফতরের সামনে ক্ষোভ শিক্ষকদের। নিজস্ব চিত্র।
আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে চার দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পনেরো জন শিক্ষক।
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র থেকে নাম নিয়ে ডিএসপি-র চারটি স্কুলে ১৫ জনকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ, আগাম কোনও নোটিস ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষকেরা জানান, হাজিরা অনুযায়ী বেতন মিলত। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষক হিসেবেও তাঁরা কাজ করেছেন বলে দাবি। সংস্থার কর্মী হিসেবে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধের দাবিতে ওই শিক্ষকেরা কেন্দ্রীয় শ্রম আদালতে মামলাও করেন। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভরত শিক্ষক প্রশান্ত মাজি, সোমা চক্রবর্তীরা বলেন, ‘‘নিয়োগের সময়ে সংস্থার তরফে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। আগে থেকে কিছু না জানিয়ে চাকরি চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের।’’
যদিও ডিএসপি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংস্থার চারটি হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে বছর সাতেক আগে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা কম ছিল। তাই এই নিয়োগ করা হয়। এখন দরকার নেই বলেই চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
কাজে যোগ দিতে চেয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে আবেদন করেন ওই শিক্ষকেরা। যদিও মহকুমাশাসকের দফতরের তরফে দাবি করা হয়, ওই শিক্ষকেরা আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে। সেটি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।