জেলাশাসকের দফতরের সামনে চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য জুড়ে চলা গণধর্ষণ, খুন ও নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন দৃষ্টিহীনেরা। বুধবার ‘ব্লাইন্ড পার্সন অ্যাসোসিয়েশনে’র তরফে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম থেকে আসা দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীরাও।
কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রামে দৃষ্টিহীন ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে তাঁরা দাবি করেন, ওই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে অভিযুক্তকে। দ্রুত বিচার করে রায় দিতে হবে। সংস্থার সহ-সভাপতি সুমিতা রায় বলেন, “ওই দিন গ্রামে মনসা পুজো চলায় ঢাকঢোলের আওয়াজে কিছুই শোনা যায়নি। সেই সুযোগে বাড়িতে একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।” অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে ওই ছাত্রী যাতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন ও বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার দাবি জানায় ওই সংস্থা। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উৎপল বিশ্বাস ঘটনাটি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের একজন, পুরুলিয়ার বাসিন্দা বলরাম সিংহ সর্দারের অভিযোগ, “নৈহাটির অন্ধ স্কুলে কিছুদিন আগে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক শিক্ষক জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁর কোনও সাজা সেই অর্থে হয়নি। তাই আমরা এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করার জন্য জেলায় জেলায় আন্দোলন করছি।” আরেক সদস্যা কল্পনা মণ্ডলের অভিযোগ, “খাজুরডিহির ঘটনার পরে আমরা স্থানীয় ও রাজ্য তৃণমূল নেতাদের জানাই। কিন্তু কেউই ওই ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াননি। অভিযুক্তের কঠোর সাজার জন্য দরকার হলে আমরা ওই ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব।” নদিয়ার চাকটা থেকে আসা শম্পারানি সাহা দাবি করেন, “এ রাজ্যে কোনও মহিলাই আর নিরাপদ নন। কিন্তু অন্ধ বা প্রতিবন্ধী মেয়েরা তো আরও অসহায়। তাঁরা পরিস্থিতির সহজ শিকার। তাই তাঁদের নিরাপত্তার দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।”