প্রচারে নেই কোনও বড় নেতা, হতাশা কংগ্রেসে

সবার শেষে প্রার্থী ঘোষণা। সেই প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশে অসন্তোষ। সে সব কাটিয়ে উঠে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছিল। কথা ছিল, শনিবার আসবেন দলের প্রদেশ সভাপতি। নির্বাচনের শেষ লগ্নে তাঁর বক্তব্যে চেগে উঠবেন কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে খবর এল, তিনি আসবেন না। তাই শেষ পর্যন্ত কোনও বড় নেতাকে প্রচারে না পেয়ে কার্যত হতাশ দুর্গাপুরের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫৭
Share:

সবার শেষে প্রার্থী ঘোষণা। সেই প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশে অসন্তোষ। সে সব কাটিয়ে উঠে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছিল। কথা ছিল, শনিবার আসবেন দলের প্রদেশ সভাপতি। নির্বাচনের শেষ লগ্নে তাঁর বক্তব্যে চেগে উঠবেন কর্মী-সমর্থকেরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে খবর এল, তিনি আসবেন না। তাই শেষ পর্যন্ত কোনও বড় নেতাকে প্রচারে না পেয়ে কার্যত হতাশ দুর্গাপুরের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

এ বার লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের প্রার্থী নিয়ে প্রথম থেকে টানাপড়েন চলেছে কংগ্রেসে। সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি প্রার্থীরা কয়েক রাউন্ড প্রচার সেরে ফেলার পরে কংগ্রেসের তরফে শিল্পপতি বিপিন ভোরাকে এখানে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি আবার পরে ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক’ কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান। প্রচারে নামতে না পেরে ফের হতাশায় ভুগছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। শেষে পানাগড়ের বাসিন্দা, দু’টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং একটি পিটিটিআই-এর মালিক প্রদীপ অগস্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক অসন্তোষের ধাক্কা সামলে তিনি গলসি, বুদবুদ, পানাগড়, দুর্গাপুর থেকে মন্তেশ্বর, মেমারি, বর্ধমানে জোরকদমে প্রচারও শুরু করেন।

দুর্গাপুরের এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা সর্বক্ষণের কর্মী। মানুষজন আমাদের চেনেন। কৈফিয়ৎ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।” তিনি জানান, যখন প্রচার শুরু হয়, তখন আর হাতে ছিল মাত্র ২১ দিন। অর্থাৎ এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার প্রতিটির জন্য বরাদ্দ মাত্র তিন দিন। একটি বিধানসভা এলাকা তিন দিনে ঘুরে ফেলা কার্যত অসম্ভব। তাই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীকে এনে শেষ মুহুর্তে বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। কথা ছিল, শনিবার তিনি দুর্গাপুরে আসবেন। গাঁধী মোড় অথবা গ্যামন ব্রিজ লাগোয়া মাঠে সভা করবেন। হেলিকপ্টারে আসবেন বলে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ খবর আসে, তিনি আসতে পারছেন না। এই খবরে ফের হতাশা দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

Advertisement

জোরকদমে প্রচারের পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থনে দলের ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের নিয়ে আসছে অন্য দল। ইতিমধ্যে সিপিএমের গৌতম দেব পানাগড়, দুর্গাপুরে ঘুরে গিয়েছেন। প্রকাশ কারাতের আসার কথা রয়েছে। আজ, শুক্রবার পানাগড়ে আসার কথা তৃণমূলের মুকুল রায় ও রাজ্যসভার সাংসদ তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক প্রার্থীকে নিয়ে পানাগড়ে রোড-শোও করে ফেলেছেন। অথচ, কংগ্রেসের তেমন কেউ আসেননি এখানে। দলের কয়েক জন নেতা-কর্মী জানান, “এক জন ‘হেভিওয়েট’ নেতাকে আনতে পারলে দেরিতে শুরু করার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যেত। অধীরবাবু সে কাজ করতে পারতেন।” বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের ডিটিপিএস এলাকায় প্রার্থী প্রদীপ অগস্তিকে নিয়ে সভা করেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি না আসার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সভা শেষে প্রার্থী প্রদীপবাবু বলেন, “উনি এলে প্রচার পর্বে আলাদা গতি আসত। আমাদের দুর্ভাগ্য, তা হল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন