ধৃত লক্ষ্মণ প্রধান। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে কোনও সমস্যা হলে ‘যৎসামান্য’ দক্ষিণার বিনিময়ে যজ্ঞ করে সমাধান করে দেবেন এই লোভ দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে লক্ষ্মণ প্রধান নামে ওই ব্যক্তিকে বুদবুদের মানকর থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গলসির বাসিন্দা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মমতা কর্মকার পুলিশে অভিযোগ করেন, বাড়ির অমঙ্গলের আশঙ্কা দূর করতে তাঁকে যজ্ঞ করার কথা বলেন লক্ষ্মণ। তাঁর কথায় ভরসা করে মমতাদেবীর স্বামী ও তাঁর তিন ভাই প্রত্যেকে ৭২ হাজার টাকা করে দেন। মমতাদেবী তাঁর মেয়ের শরীর খারাপের কথা বলায় তাকে সুস্থ করার নামেও বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় সে। কিন্তু কয়েক দিন পরেও মেয়ের শরীর ঠিক না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে যান মমতাদেবী। তখন তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সোনার দুল, গলার হার লক্ষ্মণ কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। মমতাদেবীর কথায়, “আমি পুলিশে খবর দেব জানালে ওই সাধু বলেন, থানার কয়েক জন আধিকারিকও তাঁর শিষ্য। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কোনও ব্যবস্থা নেবে না।” এর পরেই তিনি বুদবুদ থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। সে আরও অনেক জনের কাছ থেকে এ ভাবে টাকা নিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত নিজেকে ওড়িশার বাসিন্দা বলে দাবি করেছে। মানকরের বেশ কিছু এলাকায় তার প্রচারে ব্যানারও লাগানো আছে বলে পুলিশ জেনেছে। তার এই অপকর্মের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।