পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় দ্রুত নামল ট্রেকার

কোথাও অসুস্থ পরীক্ষার্থীর দ্রুত চিকিৎসা হল, কোথাও বাসের সমস্যা হওয়ায় পর্যবেক্ষক-বিধায়কের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি পথে নামল ট্রেকার। সবমিলিয়ে দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া জেলা জুড়ে মাধ্যমিকের প্রথম দিন ছিল শান্তিপূর্ণ। এমনটা দাবি করেছেন জেলা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পর্যবেক্ষক রথীন মল্লিকও। তাঁর দাবি, সোমবার পরীক্ষার প্রথম দিনে ছোটখাট সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলায় বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪০
Share:

কোথাও অসুস্থ পরীক্ষার্থীর দ্রুত চিকিৎসা হল, কোথাও বাসের সমস্যা হওয়ায় পর্যবেক্ষক-বিধায়কের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি পথে নামল ট্রেকার। সবমিলিয়ে দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া জেলা জুড়ে মাধ্যমিকের প্রথম দিন ছিল শান্তিপূর্ণ। এমনটা দাবি করেছেন জেলা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পর্যবেক্ষক রথীন মল্লিকও। তাঁর দাবি, সোমবার পরীক্ষার প্রথম দিনে ছোটখাট সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলায় বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি।

Advertisement

পর্যদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়নার শ্যামসুন্দর রামলাল আদর্শ বিদ্যালয়ে দু’জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের চটজলদি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে কিছুক্ষনের মধ্যেই ওই দুই ছাত্রী সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দিতে শুরু করেন। তাঁদের অতিরিক্ত সময় লাগেনি বলেও পর্ষদ সূত্রের খবর। গলসির আদ্রাহাটি গোহগ্রাম রুটে আবার বাস চলাচলের সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পর্ষদ থেকে পর্যবেক্ষককে ফোন করে পরিস্থিতি জানানো হয়। পর্যবেক্ষক রথীনবাবু স্থানীয় বিধায়ক গৌর মণ্ডলকে ফোন করেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই ওই রুটে বেশ কিছু ট্রেকার নামানো হয়। তাতে মাধামিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা মেটে।

অন্যদিকে বর্ধমান শহরের রামাশিস হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্রী প্রতিমা যাদবের সিট পড়েছিল সাধুমতি গার্লস স্কুলে। কিন্তু পরীক্ষা দিতে বসার পরে ওই ছাত্রীকে হিন্দির বদলে বাংলা প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষক স্বপন দে দাবি করেন, পর্ষদের গাফিলতিতে ওই ছাত্রী ভুল অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছেন। শেষে পর্ষদ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়ে প্রতিমা হিন্দি প্রশ্নপত্র হাতে পান। তবে পর্ষদের বর্ধমান আঞ্চলিক কেন্দ্রের আধিকারিক অরুন কুমার ভট্টাচার্য জানান, এই ভুলের জন্য পর্ষদ দায়ি নয়। ওই ছাত্রী ফর্ম পূরণের সময়ে বাংলা প্রথম ভাষা বলে লিখেছিলেন। সেই ভুল স্কুলের তরফে ঠিক করা হয়নি। তিনি আরও জানান, ওই স্কুলের মোট ৬ পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট ভুল ছিল। পাঁচজনের অ্যাডমিট কার্ড সংশোধন করা হলেও ওই ছাত্রী পর্ষেদর ডাক পেয়েও তা করতে আসেননি বলে অরুণবাবুর দাবি ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement