বিক্রি রুখে শিশু উদ্ধার প্রশাসনের

গ্রামে গিয়ে শিশু বিক্রির চেষ্টা রুখলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক। তপসী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির মাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মহিলাই তাঁর তিন মাসের ছেলেকে এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর আরও তিন সন্তানেরও দেখভালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মহকুমশাসক অমিতাভ দাস জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৯:২৪
Share:

গ্রামে গিয়ে শিশু বিক্রির চেষ্টা রুখলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক। তপসী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির মাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মহিলাই তাঁর তিন মাসের ছেলেকে এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর আরও তিন সন্তানেরও দেখভালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মহকুমশাসক অমিতাভ দাস জানান।

Advertisement

আসানসোল উত্তর থানার তপসী এলাকায় এক মহিলা তাঁর সন্তানকে বিক্রি করেছেন, এই অভিযোগ পেয়ে শনিবার সেখানে যায় পুলিশ। ওই মহিলা জানান, তাঁর ১৫ বছরের একটি মেয়ে এবং ১১ ও ৯ বছরের আরও দু’টি ছেলে রয়েছে। চতুর্থ সন্তানের জন্মের পরে স্বামী তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। মহিলার দাবি, “ছেলেমেয়েদের নিয়ে মুশকিলে পড়েছিলাম। আমি রুগ্‌ণ। ঝুপড়ি ঘরে কোনও মতে দিন কাটে। তাই তিন মাসের ছোট ছেলেকে এক প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করেছিলাম।” সেই প্রতিবেশীর নাম-ঠিকানা অবশ্য তিনি বলতে চাননি। শনিবার পুলিশ গিয়েও কোনও কিছুর হদিস পায়নি।

মহকুমাশাসক জানান, রবিবার সকালে আসানসোল উত্তর থানার ওসিকে নিয়ে তিনি ওই মহিলার বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে খোঁজখবর করে শিশুটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। অমিতাভবাবু বলেন, “আমি শিশুটি ও তার মাকে আসানসোল হাসপাতালে চিকিত্‌সার জন্য পাঠাই। পুলিশের সাহায্যে প্রতিবেশীদের কাছে মহিলার বাকি তিন সন্তানকে দেখাশোনার জন্য রাখি।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ওই চার শিশুর দেখাশোনার জন্য আসানসোলের কোনও হোমকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কয়েকটি হোমের কর্তৃপক্ষকে ডেকেও পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ওই মহিলার স্বামীর খোঁজ করছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই মহিলার জন্য বিপিএল তালিকা থেকে বাড়ির ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে চেষ্টা করা হবে বলে মহকুমাশাসকের আশ্বাস। তবে শিশুটিকে এ দিন কোথায় কার কাছ থেকে উদ্ধার করা হল, সে বিষয়ে মহকুমাশাসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন