বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়ে চিঠি, অস্বীকার নেতার

নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করে লোকসভা ভোটের সময়ে দলীয় নেতৃত্বের কোপে পড়েছিলেন তিনি। এ বার বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়ে তাঁর নামে লেখা চিঠি পৌঁছল বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। বর্ধমান পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শক্তিরঞ্জন মণ্ডল অবশ্য এমন কোনও চিঠি পাঠানোর কথা মানেননি। তাঁর দাবি, তাঁর নামে কেউ এই জাল চিঠি পাঠিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০১:০৭
Share:

নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করে লোকসভা ভোটের সময়ে দলীয় নেতৃত্বের কোপে পড়েছিলেন তিনি। এ বার বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়ে তাঁর নামে লেখা চিঠি পৌঁছল বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। বর্ধমান পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শক্তিরঞ্জন মণ্ডল অবশ্য এমন কোনও চিঠি পাঠানোর কথা মানেননি। তাঁর দাবি, তাঁর নামে কেউ এই জাল চিঠি পাঠিয়েছে।

Advertisement

লোকসভা ভোটে দলের তরফে টিকিট না পেয়ে দিল্লি থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শক্তিরঞ্জনবাবু। পরে অবশ্য দলীয় নেতৃত্বের অসন্তোষের মুখে পড়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ফিরে আসেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি শক্তিরঞ্জনবাবুর কাউন্সিলরের প্যাডে লেখা একটি চিঠি পৌঁছয় দলের জেলা সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিকের কাছে। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, জেলা তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা লোকসভা ভোটে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মীরা লুঠতরাজ চালাচ্ছেন। বর্তমানে তৃণমূলের কাজকর্মে হতাশ হয়ে তিনি বিজেপি-তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শক্তিরঞ্জনবাবুর নামে লেখা চিঠিতে দাবি করা হয়েছে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে শক্তিরঞ্জনবাবু অবশ্য এমন কোনও চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “বাজারে যে চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে তা আমার লেখা নয়। চিঠিটি জাল।” তাঁর ওয়ার্ডে আজ, শনিবার সন্ধ্যায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের একটি সংবর্ধনা সভা রয়েছে। সেখানে আমন্ত্রণের কার্ডে নাম রয়েছে স্বপন দেবনাথ, অলোক দাস, উজ্জ্বল প্রামাণিক-সহ তৃণমূলের বড় নেতাদের। শক্তিরঞ্জনবাবুর দাবি, “ওই সংবর্ধনা সভা আমিই করছি। দল ছাড়লে কি তা করতাম? যে দলে ছিলাম, সেখানেই আছি।”

Advertisement

তৃণমূলের জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি স্বপন দেবনাথ অবশ্য বলেন, “নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশের পরে ওই কাউন্সিলরকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলাম। লোকসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বও তাঁকে দিইনি। অনুমতি ছাড়া আমার নাম কার্ডে ছেপেছেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করব।” ভোটের টিকিট দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বপনবাবুর বক্তব্য, “এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।”

বিজেপি-র তরফে জানানো হয়, তাদের দলে যোগ দিতে চেয়ে ওই কাউন্সিলরের প্যাডে লেখা একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে। দলের পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন