চলছে দেওয়াল লিখন।—নিজস্ব চিত্র।
জোরদার না হলেও প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল এবং সিপিএমের প্রার্থী। কংগ্রেস এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি, তাই শুরু হয়নি প্রচারও। তবে বিজেপি-র প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখনও। কিন্তু প্রার্থী এখনও এসে পৌঁছননি শহরে। কবে আসছেন বাবুল সুপ্রিয়, এখন যেখানেই যাচ্ছেন এই প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে তাঁদের, জানাচ্ছেন আসানসোলের বিজেপি নেতারা।
জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে যে ক’জন প্রার্থীর নাম এখনও পর্যন্ত ঘোষণা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়ই একমাত্র তারকা প্রার্থী। বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকে শহরের অনেকেই অপেক্ষায়, কবে দেখা মিলবে এই সঙ্গীতশিল্পীর। কারণ প্রার্থী হওয়া তো দূর, শিল্পাঞ্চলে ভোটের প্রচারেও তারকাদের আনাগোনা কমই দেখেছে এই শিল্পাঞ্চল।
বিজেপি-র আসানসোল জেলা সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, ১৮ মার্চ আসানসোলে আসছেন বাবুল। সে দিনই মুম্বই থেকে কলকাতা পৌঁছবেন তিনি। তার পরে গাড়ি নিয়ে পৌঁছবেন আসানসোলে। ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে একটি হোটেলে খানিক বিশ্রামের পরে বার্নপুরে একটি কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর, জানান প্রশান্তবাবু। পর দিন সকালে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে রানিগঞ্জে কর্মিসভা করার কথাও রয়েছে। আপাতত প্রার্থীর জন্য প্রথম দু’দিনের এই সফরসূচি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান প্রশান্তবাবু। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলে বাবুলের জন্য দু’টি বাড়ি দেখা হয়েছে। তাঁর যেটি পছন্দ হবে, সেটিই ভাড়া নেওয়া হবে। ভোটের প্রচারে যাওয়ার জন্য শুধু তিনি ব্যবহার করবেন, এমন একটি গাড়িরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ রকম এক জন তারকা শিল্পীকে হাতের নাগালে পাওয়া যাবে, এই সম্ভাবনায় খুশি শিল্পাঞ্চলের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত মানুষজন। তাঁদের আশা, বাবুলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এই শহরের শিল্প-সংস্কৃতির প্রসারে সাহায্য করবে। গীতিকার ও সুরকার দিলীপ দাসের কথায়, “এখানে এমন অনেক প্রতিভা আছে, যাঁরা সে ভাবে সুযোগই পান না। বাবুল সুপ্রিয় নিজে এক জন শিল্পী। আমাদের আশা, এই সব প্রতিভার বিকাশে কিছু না কিছু পদক্ষেপ করবেন তিনি।” সঙ্গীতশিল্পী মন্দিরা সরকার বলেন, “আমরা আশা করি, আসানসোলের অবহেলিত ছিন্নমূল সংস্কৃতির জন্য তিনি কিছু করবেন।”
আশা-আকাঙ্খার দোলাচলে শিল্প-শহর। আপাতত বাবুলের আসার অপেক্ষায় শহরবাসী।