বোমায় জখম হয়ে হাসপাতালে, ধৃত কাঁকরতলার তিন

পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বোমায় জখম বীরভূমের কাঁকরতলার তিন বাসিন্দা। শেষ রক্ষা হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কাঁকরতলার হরিএকতলার আহত তিন বাসিন্দা শেখ মনির, শেখ কলিম ও শেখ মোজেমকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

কাঁকরতলা ও আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৩৯
Share:

হাসপাতালে পুলিশি প্রহরা। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বোমায় জখম বীরভূমের কাঁকরতলার তিন বাসিন্দা। শেষ রক্ষা হয়নি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দেখে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কাঁকরতলার হরিএকতলার আহত তিন বাসিন্দা শেখ মনির, শেখ কলিম ও শেখ মোজেমকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পরে যে গড়িতে করে আহতদের আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই গাড়িটি আটক করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ বোমা বাঁধতে গিয়েই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাস্থল কাঁকরতলা থানা এলাকার ধুলকুমড়া মৌজায় না কি ঝাড়খণ্ডের ঘোড়মারা এলাকার মধ্যে পড়ে তা নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় এক জনের বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন হরিএকতলার ওই বাসিন্দারা। তখনই বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাড়িটি। অন্য দিকে, বীরভূম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলছেন, “কাঁকরতলা থানা এলাকায় কোনও ঘটনা ঘাটেনি। ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার নলা থানা এলাকার ঘোড়মাড়ায়। পড়শি রাজ্যের পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল আমাদের তরফেও সেটা দেখা হচ্ছে।” জেলা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রথমত দুবরাজপুরের টাউনবাবু অমিত চক্রবর্তীর ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবং দ্বিতীয়ত ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় হওয়ায় ওই রাতে এলাকায় পুলিশ যায়নি। বুধবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কেন বোমা বাঁধার কাজ চলছিল? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের নালা থানা এলাকার কাস্তায় থাকা একটি অবৈধ কয়লা খাদানের দখল নিয়ে গত শনিবার রাতে কাঁকরতলার বড়রা গ্রামে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। রবিবার বড়রা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ২৫টি বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি বেড়ে যাওয়ার কারণেই সম্ভবত এলাকা বদলে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল এবং বিস্ফোরণের পরে স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যায়নি বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ এমনটাই মনে করছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন