কথা ছিল বেতন মিলবে অনলাইনে। পদ্ধতি অনুযায়ী এপ্রিল মাস থেকে মাস পয়লাতেই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকে যাওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেতন পাননি দুর্গাপুর মহকুমার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। দ্রুত বেতন পাওয়ার দাবিতে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করলেন বাম শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র দুর্গাপুর মহকুমা শাখার সদস্যরা। মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত বলেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে দ্রুত বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।”
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন পর্যন্ত ট্রেজারির মাধ্যমে স্কুলগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পাঠানো হত। কিন্তু এই পদ্ধতিতে বেতন পেতে অনেক মাসেই দেরি হয়ে যেত। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মাস পয়লায় বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়, অন লাইনের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম মাস এপ্রিল থেকেই সেই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই পদ্ধতিতে বেতন পেলেও দুর্গাপুর মহকুমার দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা এখনও বেতন পাননি।
সূত্রের খবর, অন লাইনে যেহেতু এই প্রথম বেতন দেওয়া শুরু হচ্ছে তাই প্রাথমিক হিসেবের জন্য কিছু সময় গিয়েছে। তারপরে কয়েক দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। ট্রেজারি ও ব্যাঙ্কের গড়মিলের কারণেই তৈরি হয়েছে এই সমস্যা। দুর্গাপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক জইনুল হক বলেন, “মাঝে মধ্যেই দেরিতে বেতন মেলে। অন লাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে ভেবেছিলাম সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু সেটা তো হল না।” এবিটিএ-র দুর্গাপুর মহকুমা শাখার নেতা তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সময়ে বেতন না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন বহু শিক্ষক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন।” বেতন দেওয়ার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, অনলাইনে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য যে পর্যাপ্ত সময় দরকার সেটা পাওয়া যায়নি।
বেতন দেওয়ার ভারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেতন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা দ্রুত বেতন পেয়ে যাবেন।